Advertisement
E-Paper

জমি বিক্রি হলে বাঁচবে সংস্থা, মত শ্রমিকদের

ডিপিএলকে বাঁচাতে উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি করে আয় করার কথা ২০১৮-র শেষ দিকে দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পড়ে রয়েছে ডিপিএলের জমি।

পড়ে রয়েছে ডিপিএলের জমি। ছবি: বিকাশ মশান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ০৫:৫৭
Share
Save

সংস্থার হাতে থাকা উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি করে রুগ্‌ণ ডিপিএলকে বাঁচাতে চায় রাজ্য সরকার। এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে বিক্রি করার মতো কোথায় কত জমি আছে সেই সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

ডিপিএলকে বাঁচাতে উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি করে আয় করার কথা ২০১৮-র শেষ দিকে দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাব এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। গত ৩ জুন অরূপবাবু ডিপিএলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে জমি বিক্রির প্রসঙ্গটি ফের ওঠে। ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ছাড়াও সংস্থার জমি রয়েছে বর্ধমান, বেলমুড়ি, বালি প্রভৃতি জায়গায়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিপিএলের অব্যবহৃত জমির পরিমাণ প্রায় ৩,১০০ একর। আরও কিছু জমি নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) সঙ্গে বিবাদ রয়েছে। এ ছাড়া, একটি সমবায় ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছে কিছু জমি বন্ধক রেখেছে ডিপিএল। যদিও দুর্গাপুরের বিধাননগর, সিটি সেন্টার, ডিএসপি টাউনশিপে ডিপিএলের বেশ কিছু জমি ইতিমধ্যেই বেহাত হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও ডিপিএল টাউনশিপে প্রায় হাজারের উপর আবাসন রয়েছে, যেগুলিতে বহিরাগতরা দখল করে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ। সেই আবাসনগুলি প্রাক্তন কর্মীদের ‘লিজ়’ বা ভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এর ফলেও ডিপিএলের আয় বাড়বে বলে মত ওই শ্রমিক সংগঠনগুলির।

জমি বিক্রি করে রুগ্‌ণ ডিপিএলকে বাঁচানোর প্রস্তাব দীর্ঘদিন ধরে দিয়ে আসছে আইএনটিইউসি। ডিপিএলের আইএনটিইউসি নেতা উমাপদ দাস বলেন, ‘‘সংস্থার অব্যবহৃত জমি দিন-দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। বহু জমি পড়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সরকার সেগুলি বিক্রিতে উদ্যোগী হলে বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার হবে। জমি বিক্রির অর্থে রুগ্ণ ডিপিএল প্রাণ ফিরে পাবে। আমরা মন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’’ আইএনটিটিইউসি-র জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘রুগ্‌ণ অবস্থা কাটিয়ে ডিপিএল যাতে পুরনো গরিমা ফিরে পায়, সে জন্য উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দুর্গাপুরবাসী।’’ তবে সিটুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, জমি বিক্রিই যেন ডিপিএল পুনরুজ্জীবনের মূল লক্ষ্য না হয়ে যায়! এ বিষয়ে সব শ্রমিক সংগঠনের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া জরুরি।’’ পাশাপাশি, ডিপিএলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার অব্যবহৃত জমি রাজ্য সরকারের ভূমি ব্যাঙ্কে অন্তর্ভূক্ত করা হোক। সেই মূল্য জমা পড়ুক ডিপিএলের তহবিলে। রাজ্য সরকারের কাছে এমন এক প্রস্তাব ডিপিএলের তরফে আগে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিপিএলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সরাসরি রাজ্যের ভূমি ব্যাঙ্কে অন্তর্ভূক্ত হলে আয় বেশি হত। কারণ, অন্য কোনও দফতর এর সঙ্গে যুক্ত হলে ডিপিএলের আর্থিক ক্ষতি হবে।’’

dpl

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।