উদ্বোধন হল মহিলা পুলিশের শক্তি যান। নিজস্ব চিত্র।
শারদ উৎসব উপলক্ষে প্রবীণ নাগরিকদের সহায়তা এবং নারী সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো করোনা-বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। মঙ্গলবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনায় এমনই বার্তা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলাকান্তম।
কমিশনার জানান, মহিলা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথা রেখে আসানসোলে পাঁচটি ও দুর্গাপুরে তিনটি ‘মহিলা শক্তি দল’ তৈরি করা হয়েছে। দলের সদস্যেরা নীল-সাদা রঙের স্কুটারে চড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান, বাজার, মণ্ডপ-সহ নানা এলাকায় ঘুরবেন। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দল তৈরি করে পুজোর মুখে রাস্তায় নামানো হবে।
কারা থাকছেন এই দলে? একটি স্কুটারে দু’জন মহিলা পুলিশকর্মী থাকবেন। তাঁরা নিজেরা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে পৌঁছে যাবেন ঘটনাস্থলে। আবার, হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে কেউ সমস্যার কথা জানালে সেখানেও তাঁরা পৌঁছে যাবেন।
পাশাপাশি, কমিশনার বলেন, “উৎসবের দিনগুলিতে প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যা বাড়ে। জেলার প্রত্যেক থানা এলাকায় পুলিশের একটি বিশেষ দল গড়া হচ্ছে। এই দলের সদস্যেরা প্রবীণদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মতো নানা কাজ করবে।” প্রবীণ নাগরিকেরা হেল্পলাইন নম্বরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার পুলিশের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের হাইকোর্ট নির্দেশিত কোভিড-বিধির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের তরফে প্রয়োজন মতো স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। রাখতে হবে হাতশুদ্ধি, মাস্ক। পুলিশ কমিশনার বলেন, “উৎসবের দিনগুলিতে রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত মাইক বাজানো যাবে না। কোনও মণ্ডপেই ডিজে সাউন্ডবক্স বাজানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।” পুলিশ জানায়, এ সব নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সব বিধি-নিষেধকে স্বাগত জানিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy