Advertisement
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

শ্যালিকাকে ছুরির কোপ, জখম তিন

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান থানার চাণ্ডুল গ্রামে বাঁধের ধারে একটি বাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় নমিতাদেবীর দেহ।

শোকার্ত পরিবার। নিজস্ব চিত্র

শোকার্ত পরিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

পারিবারিক বিবাদের জেরে ছুরির কোপে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রী নমিতা মাঝি (৩২)কে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন স্বামী কালা মাঝি। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও মৃতার দিদি মমতা মাঝি ও মামাতো ভাই শম্ভু রায় জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান থানার চাণ্ডুল গ্রামে বাঁধের ধারে একটি বাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় নমিতাদেবীর দেহ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শ্বশুরবাড়ি ভাতারের নূরপুর গ্রাম থেকে মনসা পুজো উপলক্ষে বাপের বাড়ি চান্ডুলের ঘোষপাড়ায় এসেছিলেন ওই মহিলা। পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত, মৃতের ভগ্নিপতি কৈলাস মনিকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নমিতাদেবীরা তিন বোন। ছোট বোন রিনার শ্বশুরবাড়ি ওই গ্রামেরই বাঁধের ধারে। মনসা পুজো উপলক্ষে তিন বোনই বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে রিনাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছতে গিয়েই ওই ঘটনা ঘটে। জখম মমতা মাঝি, শম্ভু রায়ের অভিযোগ, “বারবার ফোন আসছিল বলে রিনাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে যায় নমিতা। সেখানে রিনার স্বামী কৈলাসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, বচসা বাধে। অন্ধকারের মধ্যে কৈলাস ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।’’ তাঁদের দাবি, ছুরির কোপ পড়তেই তাঁরা পালায়ে যান। কিন্তু নমিতাদেবী পালাতে না পেরে বোনের শ্বশুরবাড়ির এক কোণে লুকিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, সেখান থেকে বের করে তাঁর বুকে, পেটে, গলায় এলোপাথারি ছুরির কোপ মারা হয়। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন কালাবাবুও। পরে পড়শিরা এসে ধরে ফেল কৈলাসকে। তাঁরাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

প্রতিবেশীদের দাবি, ১২ বছর আগে রিনার সঙ্গে কৈলাসের বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটে সন্তান রয়েছে। ইদানিং ওই দম্পত্তির মধ্যে অশান্তি চলছিল। পারিবারিক অশান্তি মেটাতে পঞ্চায়েতকেও আসরে নামতে হয়েছে, দাবি তাঁদের। রিনার পরিজনেরা বলেন, “মারধর-নির্যাতন দিন দিন বাড়ছিল। সে নিয়ে কথা বলতেই ছুরি নিয়ে হিংস্র ভাবে হামলা চালানো হল।’’ কৈলাসের পরিজনেদের দাবি, ‘‘ওরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল।’’ স্থানীয় বেলকাশ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শেখ আইনালও বলেন, “পারিবারিক অশান্তি ছিল। আমরাও দু’বার বসে মেটানোর চেষ্টা করেছিলাম।“

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy