Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Bhatar

রূপশ্রীর আবেদনপত্র দিতে এসে প্রেমিককে নিয়ে ‘উধাও’ পাত্রী! ভাগ্নির জন্য বিডিও অফিসে দাঁড়িয়ে মামা

ভাতারের বিডিও অফিস থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেলেন পাত্রী। পরিবারের সন্দেহ, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন তাদের মেয়ে। ওই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর বাবা।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাতার শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫১
Share: Save:

বিয়ের আয়োজন প্রায় সারা। আত্মীয় স্বজনদের নিমন্ত্রণের জন্য বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়ে গিয়েছে। বিয়ের বাজার থেকে প্যান্ডেল বায়না, সবই হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই মাথায় হাত মেয়ের বাড়ির লোকজনের। রূপশ্রীর আবেদনপত্র জমা দিতে গিয়ে পাত্রী চম্পট দিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গেল বিডিও চত্বরে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ঘটনা।

দিন দশেক পর ভাগ্নির বিয়ে। বিয়ের অনুষ্ঠানে সরকারি সহায়তার জন্য রূপশ্রী প্রকল্পের অনুদানের আবেদন করতে ভাগ্নিকে নিয়ে বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন মামা। আবেদনপত্র পূরণের কাজ চলছিল। সে সময় নিজের ভ্যানিটি ব্যাগটি মামাকে ধরতে দিয়ে ‘একটু আসছি’ বলে সেই যে গেলেন আর ফিরলেন না ভাগ্নি। শুক্রবার বিকেলে এমনই ঘটনায় শোরগোল ভাতার বিডিও অফিস চত্বরে। কোথাও ভাগ্নির খোঁজ না পেয়ে বাড়িতে খবর দেন মামা। পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি পাত্রীকে। শেষমেশ ভাতার থানায় যান নিখোঁজ তরুণীর বাবা, মামা এবং অন্য আত্মীয়েরা। তাঁদের পাশে নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ় পরীক্ষা করতে বসে পুলিশ। কিন্তু তার পরও হদিস নেই পাত্রীর।

পরিবারের সন্দেহ, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন তাদের মেয়ে। ওই মর্মে পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর বাবা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভাতারের সাহেবগঞ্জ এলাকায় বাড়ি বছর বাইশের ওই তরুণীর। স্নাতক উত্তীর্ণ তরুণীর মামাবাড়ি বনপাশ এলাকায়। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানের তোড়জোড় চলছে। তার মধ্যে রূপশ্রীর জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলেন পাত্রী।

মেয়েদের বিয়ের খরচের জন্য রাজ্য সরকারের ওই প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা অনুদান পাওয়া যায়। তবে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন করতে গেলে পাত্রীর অন্যান্য নথিপত্রের সঙ্গে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের একটি প্রতিলিপি প্রমাণ হিসাবে দিতে হয়। আবেদন করার সময় আবেদনকারীকেও সশরীরে হাজির থাকতে হয় বিডিও অফিসে। সেই মতো পাত্রীকে নিয়ে বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন তাঁর মামা। ভাগ্নি ‘নিখোঁজ’-এর ঘটনায় বিস্মিত মামা বলেন, ‘‘তখন আবেদনপত্র পূরণের কাজ চলছে। হঠাৎ ওর ব্যাগটা আমাকে ধরতে দিয়ে ভাগ্নি বলল, ‘মামা, ব্যাগটা ধরো, আমি টয়লেট থেকে ঘুরে আসি।’ এই বলে সেই যে গেল তারপর আর খুঁজে পাচ্ছি না।’’

পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে ফুঁসলিয়ে কোনও যুবক নিয়ে গিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Bhatar fled Marriage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy