— ফাইল চিত্র।
পড়ুয়াদের পাতে নুন-ভাত দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছিল চাপানউতোর। হুগলির এক স্কুলে তেমন অভিযোগ ওঠার পরে মিড-ডে মিল নিয়ে তোলপাড়া শুরু হয় রাজ্য জুড়েই। কেন মিড-ডি মিলে পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়া হবে না, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আবার, পড়ুয়া পিছু যে বরাদ্দ মেলে তাতে কতটা ভাল খাবার তুলে দেওয়া সম্ভব, পাল্টা সে প্রশ্নও উঠেছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে সভা করতে এসে বলেন, ‘‘আমি চাই, ডাল-ভাত-তরকারিটা পেট ভরে খাক।’’
এই পরিস্থিতিতে মিড-ডে মিল যাতে ঠিকঠাক দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে কিছু রূপরেখা তৈরি করে তা স্কুলগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি দেখভালের জন্য একাধিক মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশ পালন করতে কিছু রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। শীঘ্রই সেগুলি কার্যকর করা হবে।’’ তিনি জানান, পুরো প্রক্রিয়া দেখভালের জন্য চারটি মনিটরিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমার ব্লকগুলির জন্য দু’টি এবং আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভা এলাকার জন্য দু’টি মনিটরিং কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটিতে থাকবেন জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দুই মহকুমার কয়েকটি স্কুলকে বেছে নিয়ে মিড-ডে মিলের গুণগত উৎকর্ষতা বাড়ানো হবে। সেই স্কুলগুলিকে মডেল হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এর পরে জেলার বাকি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওই সব মডেল স্কুলগুলি পরিদর্শন করিয়ে তাঁদের নিজেদের স্কুলেও একই রকম মিড-ডে মিল চালু করার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হবে। সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন খাবারের তালিকা তৈরি হয়েছে।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে মোট প্রাথমিক স্কুল আছে ১০১৬টি। এর মধ্যে আসানসোল মহকুমায় ৬৪১টি ও দুর্গাপুর মহকুমায় ৩৭৫টি। প্রত্যেকটি স্কুলের প্রধানদের কাছে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের নির্দিষ্ট নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিরও পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, যে সব কেন্দ্রের অবস্থা খুব খারাপ সেগুলি চিহ্নিত করে সংস্কারের ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে শৌচাগার নির্মাণেরও ব্যবস্থা হচ্ছে। এই কাজগুলি করার জন্য ‘ডিস্ট্রিক্ট মাইনিং ফাউন্ডেশন’ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া যাবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনের রূপরেখা তৈরির পরেও অবশ্য ফল কতটা হবে, থাকছে সে প্রশ্ন। কারণ, খাবার তৈরির উপযুক্ত পরিকাঠামো সব স্কুলে রয়েছে কি না, সংশয় রয়েছে সে নিয়েই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy