—প্রতীকী চিত্র।
বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এসেছে ব্যাঙ্কে। টাকা তুলতে ব্যাঙ্কের বাইরে লাইনে উপচে পড়ছে উপভোক্তাদের ভিড়। বৃহস্পতিবার একই ছবি দেখা গেল ওষুধের দোকানগুলির সামনেও। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া, রানিগঞ্জে করোনা-সতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
‘পশ্চিম বর্ধমান ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় ফেডারেশন’-এর সভাপতি সুব্রত চেল বলেন, ‘‘পশ্চিম বর্ধমানে প্রায় ৬৫টি ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। এক সঙ্গে ‘জনধন যোজনা’, ‘বার্ধক্যভাতা’, ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র টাকা এসেছে। তা নিতেই গত কয়েকদিন ধরে আচমকা ভিড় বেড়ে গিয়েছে প্রতিটি ব্যাঙ্কের সামনে। প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্কে ঢোকার সময়ে এক জন করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাইরের লাইনে লাগাম টানা যাচ্ছে না।’’ বিভিন্ন এলাকার উপভোক্তাদের দাবি, রুটি-রুজি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছে। তাই, এখন জীবনধারণের জন্য এই টাকা অত্যন্ত জরুরি। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন।
একই ভাবে রানিগঞ্জের স্কুলপাড়ায় কয়েকটি ওষুধের দোকান এবং এক জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ‘চেম্বার’-এর সামনে রোগীদের লম্বা লাইন নজরে পড়ে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্য রবি মোদী বলেন, “ভিড় নিয়ে প্রতিটি দোকানদার রোগীদের পরিবারকে বোঝাচ্ছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই লাভ হচ্ছে না। আমরা অসহায়।’’ ওই চিকিৎসক জানান, তিনি প্রায় দশ দিন চেম্বার খোলেননি। শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে নার্সিংহোমে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেখানে রোগীরা যেতে অস্বীকার করায় চেম্বার খুলতে হয়েছে। তবে তাঁর দাবি, ‘‘এ ভাবে চললে স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়ে রোগী দেখা বন্ধ করে দিতে হবে।’’
এই পরিস্থিতিতে রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ার দুই সিপিএম বিধায়ক যথাক্রমে রুনু দত্ত ও জাহানারা খানেরা জানান, করোনা-সতর্কতা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের দাবি, এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপ করা দরকার। তবে বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সকালে এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়। বিডিও (জামুড়িয়া) কৃশাণু রায় বলেন, ‘‘দুপুর ১২টা নাগাদ জামুড়িয়ায় কয়েকটি ব্যাঙ্কে সামাজিক দূরত্ব না মেনে উপভোক্তাদের ভিড়ের খবর পাওয়া যায়। পুলিশ পদক্ষেপ করে।’’
এ দিকে, নিয়ম না মানার অভিযোগে ইতিমধ্যেই জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ থেকে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈন। তিনি জানান, মোট ৪৩টি মোটরবাইক ও গাড়িও আটক করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযান চলছে। পাশাপাশি, সুকেশবাবু বলেন, ‘‘সচেতনতা বাড়াতে নানা প্রচার চলছে। অত্যাবশ্যক কোনও পরিষেবা নিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy