পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলছেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নিজস্ব চিত্র
বেড়াতে গিয়ে ‘লকডাউন’-এর জেরে রাজস্থানে আটকে পড়া এক পর্যটক দলকে ফিরিয়ে আনা হল রাজ্যে। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্ট পেরিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে ঢোকে। রাতে তাঁদের সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার সকালে প্রশাসনের উদ্যোগে ওই পর্যটকদের কলকাতায় পাঠানো হয়।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৩ জনের ওই পর্যটক দলে কলকাতার খিদিরপুর, ওয়াটগঞ্জ, মেটিয়াবুরুজ ও তার আশপাশের এলাকার ২৮ জন ও হুগলির পাঁচ বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশু। কলকাতারই একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে ১৯ মার্চ দলটি অজমের রওনা হয়। সেখানে পৌঁছয় ২১ মার্চ। তার দিন তিনেক পরেই দেশ জুড়ে ‘লকডাউন’-এর ঘোষণা হয়। টানা ৪২ দিন অজমেরেই আটকে ছিলেন তাঁরা।
ওই দলের সদস্য, মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে আড়াই বছরের শিশু রয়েছে। প্রথম কয়েকদিন ওখানে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পরে মুশকিলে পড়েছিলাম। এই সময়ে সরকার আমাদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী না হলে আরও ঝামেলায় পড়তাম।’’ ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ আখতার জানান, ভ্রমণ সংস্থাটিও আর খরচ সামাল দিতে পারছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানে আরও বহু পর্যটক আটকে গিয়েছেন। সবার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছিল না। আখতার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। ফিরে আসতে পেরে স্বস্তি পেয়েছি।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসে পর্যটক দলটি রবিবার সাড়ে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ডুবুরডিহি সীমানায় এসে পৌঁছয়। তাঁদের স্বাগত জানাতে পুলিশের সঙ্গে হাজির ছিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পর্যটকদের কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’’ প্রশাসনের উদ্যোগে ওই রাতে দলটিকে কুলটির চৌরঙ্গি লাগোয়া একটি হোটেলে রাখা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার সকালে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার একটি বাসে পর্যটকেরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy