কাঁকসায় ধান কাটা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
প্রতি বছর মে, জুন মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে রাজ্যে। তার প্রভাব জনজীবনের পাশাপাশি, চাষাবাদেও পড়ছে। এ বছরও ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন রাজ্যবাসী। কিন্তু রাজ্যে তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে পাকা ধানে যাতে মই না পড়ে, সে জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও কৃষি ও উদ্যানপালন দফতরের তরফে চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনও করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময় মূলত জেলায় বোরো ধানের চাষ হয়। চাষ হয়েছে প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে কাঁকসা ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে চাষ হয়েছে। এখন জমির ধান প্রায় পেকেই গিয়েছে। এই অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন চাষিরা।
জেলা কৃষি দফতরের পরামর্শ, এখন ফসল বাঁচাতে দ্রুত ধান কাটার ব্যবস্থা করতে হবে। জমির ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলেই, সেগুলিকে কেটে ফেলতে হবে। কারণ, চাষিরা যত দ্রুত ধান বাড়িতে তুলে নিতে পারবেন, তাতে তাঁদেরই লাভ। অনেক সময় চাষিরা খড় না পাকা পর্যন্ত ধান কাটতে চান না। তবে এখন খড় দেখলে হবে না। ধানের শিষ পেকে গেলেই তা কেটে ফেলতে হবে বলে পরামর্শ কৃষিকর্তাদের। এমনকি, ধান কাটার জন্য ‘কম্বাইন হারভেস্টরের’ ব্যবহার বাড়াতে হবে।
জেলায় কাঁকসা ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া দেওয়ার কেন্দ্র রয়েছে। কাঁকসার চাষি অমিয় মণ্ডল, বিকাশ ঘোষেরা বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটতে শুরু করেছি। কারণ, আবহাওয়া আবার খারাপ হয়ে গেলে, ধান তুলতে সমস্যায়পড়তে হবে।”
জেলা উপকৃষি অধিকর্তা জাহিরুদ্দিন খান বলেন, “এখনও মোকার গতিবিধি স্পষ্ট নয়। তবে আবহাওয়া ভাল থাকতেই ধান কেটে বাড়িতে তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। অনেক চাষি সে কাজ শুরুও করেছেন।”
এ সময় জেলায় প্রায় দু’হাজার হেক্টর জমিতে আনাজও চাষ হয়েছে। উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার নানা প্রান্তে শসা, ঝিঙে, পটলের মতো আনাজ চাষ হয়েছে। তা ছাড়া এ সময় গাছে আমও থাকে। দফতরের পরামর্শ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে যতটা সম্ভব ফসল তুলে বাজারজাত করতে হবে। কাঁচা আমও বাজারে বিক্রি করা যায়। সে ক্ষেত্রে কাঁচা আম বিক্রি করলে চাষিদের খুব একটা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না বলে দাবি।
উদ্যানপালন দফতরের পরামর্শ, জমিতে বৃষ্টির জল যাতে না জমে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। মাচাতে আনাজ চাষ করে থাকলে, সেগুলিকে শক্ত করে বেঁধে রাখতে হবে। দফতরের জেলা আধিকারিক সোনালি দে বলেন, “আমরা জেলার চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে কোনও ক্ষতি হলে, দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে চাষিদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy