Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

জেলায় এগিয়ে চার ছাত্রছাত্রী

উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করলেন বর্ধমানের তিন ও কালনার এক পড়ুয়া। এ বার মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি। তবে ৪৯৭ নম্বর পেয়ে কালনার সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শীর্ষেন্দু সাহা ও বর্ধমান বিদ্যার্থীভবন গার্লস হাইস্কুলের শরণ্যা ঘোষ পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়াদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, ৪৯৪ নম্বর করে পেয়েছেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের ফারহানা ইয়াসমিন ও বর্ধমান টাউন স্কুলের নীলাঞ্জন অধিকারী।

 শরণ্যা ঘোষ এবং শীর্ষেন্দু সাহা।

শরণ্যা ঘোষ এবং শীর্ষেন্দু সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান ও কালনা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ০২:৫৫
Share: Save:

উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করলেন বর্ধমানের তিন ও কালনার এক পড়ুয়া। এ বার মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি। তবে ৪৯৭ নম্বর পেয়ে কালনার সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শীর্ষেন্দু সাহা ও বর্ধমান বিদ্যার্থীভবন গার্লস হাইস্কুলের শরণ্যা ঘোষ পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়াদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, ৪৯৪ নম্বর করে পেয়েছেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের ফারহানা ইয়াসমিন ও বর্ধমান টাউন স্কুলের নীলাঞ্জন অধিকারী।

কালনার পূর্ব সাতগাছিয়ার ঢাকাপল্লির বাসিন্দা শীর্ষেন্দু সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকেও এই স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। এ দিন ফল বেরনোর পরে বিকেল থেকে শীর্ষেন্দুর বাড়িতে ভিড় জমে যায়। তার বাবা, কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সুধাংশুশেখর সাহা বলেন, ‘‘এ বারও প্রত্যশা ছিল, ছেলে ভাল ফল করবে। ও হতাশ করেনি।’’ ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চান শীর্ষেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মেধাতালিকা প্রকাশ হলে আরও বেশি আনন্দ হত।’’ তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক নীহাররঞ্জন সাহা বলেন, ‘‘শীর্ষেন্দুর একাগ্রতা, নিষ্ঠা অন্যদের থেকে বেশি। ওর ফলে স্কুল গর্বিত।’’

বর্ধমান শহরের রাধানগরপাড়ায় বাড়ি শরণ্যার। পরীক্ষার ফলে খুশি হলেও দু’টি পরীক্ষা না হওয়ায় আফশোস রয়ে গিয়েছে বলে জানান এই ছাত্রী। শরণ্যার বাবা তরুণ ঘোষ শহরের শিশু চিকিৎসক। শরণ্যা জানান, এর পরে তিনি কম্পিউটার বা পদার্থবিদ্যা নিয়ে উচ্চশিক্ষার চেষ্টা করবেন।

ফারহানা ইয়াসমিন এবং নীলাঞ্জন অধিকারী

বর্ধমানের কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা নীলাঞ্জন কলা বিভাগ থেকে ৪৯৪ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর বাবা নিলয়কুমার অধিকারী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। নীলাঞ্জন জানান, কলা বিভাগে পড়াশোনা করেও ভাল ফল করা যায়, এই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন বাবা-মা ও স্কুলের শিক্ষকেরা। এর পরে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করা তাঁর লক্ষ্য। মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ফারহানা জানান, মাধ্যমিকেও ফল ভাল হয়েছিল। তবে এ বার তার থেকেও ভাল ফল হওয়ায় তিনি খুশি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চান। সুযোগ পেলে গবেষণা করতে চান করোনাভাইরাস নিয়েও। তাঁর বাবা, পেশায় ব্যবসায়ী শেখ জমিমুদ্দিন জানান, মেয়ের পরীক্ষার ফলে তাঁরা খুব খুশি।

এ ছাড়া ৪৯৮ নম্বর পেয়েছেন বর্ধমানের সরাইটিকরের মহম্মদ তালহা। তবে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন হুগলির স্কুল থেকে। বাবা খলিল আহমেদ স্কুল-শিক্ষক। তালহা জানান, বড় হয়ে ডাক্তার হতে চান।

অন্য বিষয়গুলি:

wbchse result 2020 student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy