পড়ে রয়েছে রূপনারায়ণপুরের এই কেন্দ্রটি। নিজস্ব চিত্র
শহরকে আবর্জনা ও দূষণমুক্ত রাখতে বছর দেড়েক আগে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ মাঝপথেই বন্ধ প্রকল্পের কাজ। এই অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বর্জ্য-ব্যবস্থাপন পরিকল্পনা। ফলে, দুর্গন্ধ ও দূষণে সমস্যা বাড়ছে, অভিযোগ রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দাদের।
সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলে রয়েছে শতাধিক বহুতল আবাসন। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেশ কিছু ছোট-বড় শিল্প সংস্থা ও দৈনিক বাজার-সহ নানা কিছু রয়েছে এখানে। এলাকাবাসী জানান, এখানের মূল সমস্যা বর্জ্য-ব্যবস্থাপন। তাঁরা জানান, যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। নিয়মিত সাফাই হয় না।
এই পরিস্থিতিতে আসানসোলের দিক থেকে রূপনারায়ণপুরে ঢোকার মুখে রেলসেতুর ডান পাশে ডাঁই করে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। সেখানে মৃত নানা পশুও ফেলা হয় বলে অভিযোগ। যদিও ওই এলাকায় আবর্জনা না ফেলার আর্জি জানিয়ে বোর্ড ঝুলিয়েছে পঞ্চায়েত। বছর চারেক আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া কেব্লস কারখানার ফাঁকা জমিতেও বিস্তীর্ণ এলাকার আবর্জনা এনে জড়ো করা হচ্ছে। গবাদি পশুর দল খাবারের সন্ধানে আবর্জনা ঘাঁটে। ফলে, আবর্জনা হাওয়ায় উড়ে জনবসতির মধ্যে চলে আসছে। তা ছাড়া, লাগোয়া দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া ও রূপনারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ডে আসা যাত্রীরাও দুর্গন্ধে টিকতে পারেন না। এমনকি, কেব্লস ফুটবল মাঠ লাগোয়া ফাঁকা জমিতেও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রাতঃভ্রমণকারী ও ক্রীড়াপ্রেমীদের।
এই অবস্থায় রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দারা ব্লক প্রশাসনের কাছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বছর দেড়েক আগে চিতলডাঙা এলাকায় ওই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ঠিক হয়, সেখানে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে জৈব সার তৈরি হবে। তা বাজারে বিক্রি করে আয় হবে। শহর থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য জমা করার জন্য এখানে একটি বিশাল মাপের ছাউনিও তৈরি করা হয়েছিল। জৈব সার তৈরির জন্য দু’টি ঘরও তৈরি করা হয়। এর জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা যায়।
বছরখানেক আগে ঘটা করে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, মাঠে মারা গিয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনের পরিকল্পনা। বিষয়টি নিয়ে বিডিও (সালানপুর) তপনকুমার সরকার বলেন, ‘‘একটি যন্ত্র বসাতে হবে। তবে এর জন্য অনেক খরচ। জেলা পরিষদ থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে তদ্বির করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy