Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Student Death in Durgapur

হাতখরচ কম পেতেন বলে অবসাদে নিজেকে শেষ করেছেন? দুর্গাপুরে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে নয়া তথ্য

যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে শোরগোলের মধ্যে বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল থেকে মেলে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ।

Student Death in Durgapur

মৃত পড়ুয়া সৌরভ কুমার ও তাঁর বাবা সুরেন্দ্র কুমার (বাঁ দিক থেকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ১৬:০৮
Share: Save:

বাবা বলছেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে অন্য তথ্য। দুর্গাপুর বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল থেকে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সৌরভ কুমারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাপানউতর অব্যাহত।

যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে শোরগোলের মধ্যে বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল থেকে মেলে সৌরভের ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ডিজ়াইনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র থাকতেন বয়েজ় হস্টেলের চার তলার একটি ঘরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ অগস্ট অর্থাৎ, মঙ্গলবার তাঁকে শেষ বার কলেজ চত্বরে দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বয়েজ় হস্টেলের চার তলায় দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। এর পর ৩১৬ নম্বর রুমের দরজা খুলে দেখা যায় ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সৌরভের দেহ।

কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সৌরভ গত ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ছাত্রের পরিবারকে এই কথা ফোন করে জানানোও হয়েছিল। এর পর গত ২৩ অগস্ট দুর্গাপুরে আসেন সৌরভের বাবা সুরেন্দ্র রাই এবং বেশ কয়েক জন আত্মীয়। কিন্তু ওই পড়ুয়ার খোঁজ না পেয়ে ওই দিন দুপুরেই নিউটাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা।

সৌরভের বাবার দাবি, পরে তাঁকে জানানো হয় যে তাঁর ছেলে মারা গিয়েছেন। নিখোঁজ হলে কী ভাবে এবং কখন হস্টেলের ঘরে সৌরভ ঢুকলেন? সেখানে হস্টেল কর্তৃপক্ষের কোনও নজরদারি ছিল না কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সৌরভের বাবার কথায়, ‘‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। তবে কেউ খুন করেছে কি না, আমার জানা নেই। কারণ, ছেলেকে দেখতেই পাইনি।’’

পুলিশ এবং কলেজ সূত্রে খবর, পরিবারের তরফে কম হাতখরচ পেতেন সৌরভ। তাঁর অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে একটি কিপ্যাড ফোন ব্যবহার করতেন। এ সব নিয়ে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবারের কাছে হাতখরচ চাইলেও সে ভাবে পেতেন না। এ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন ওই ছাত্র। এই প্রসঙ্গে মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘‘ছেলেকে মাসে কখনও হাজার টাকা, কখনও ১,৫০০ টাকা দিতাম।’’ তিনি ছেলেকে খুনের অভিযোগ করছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেননি। সুরেন্দ্র জানান, অভিযোগ জানাবেন। অন্য দিকে, ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পর ছেলের দেহ নিয়ে বিহারের ভাগলপুর নিজেদের বাড়ি নিয়ে যাবেন বলে জানান সুরেন্দ্র।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy