Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Ausgram

ভিডিয়োয় ফের চর্চায় তৃণমূল নেতাদের দ্বন্দ্ব

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, “বৈঠকে মতবিরোধ হতেই পারে। দরপত্র ডাকার পরেও অমরপুরে একটি সৌরচালিত সাবমার্সিবল পাম্প বসেনি।

ঝামেলার মাঝে। নিজস্ব চিত্র

ঝামেলার মাঝে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ০৮:৫২
Share: Save:

সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল পড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। ওই ভিডিয়ো-তে (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে, বিডিও-র (আউশগ্রাম ২) চেম্বারে সভা চলাকালীন তৃণমূল পরিচালিত আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলির সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন অমরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের এবাদৎ শেখ। কেন তাঁর এলাকার পানীয় জলের প্রকল্প হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে প্রধানকে। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, দু’জনকেই বেশ উত্তেজিত। চেয়ার ছেড়ে উঠে একে অপরের দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলছেন তাঁরা। বিডিও তাঁদের থামানোর চেষ্টা করছেন। যুগ্ম-বিডিও এবং কয়েক জন প্রধানকে চেয়ারে বসানোর চেষ্টা করছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, জলজীবন মিশন নিয়ে বৈঠকটি হয় বৃহস্পতিবার।

ওই ভিডিও-তে সভাপতির উদ্দেশে প্রধানকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আপনার লজ্জা করা দরকার। আপনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এখানে কেন গ্রুপবাজি করা হবে? এটা গ্রুপবাজি করার জায়গা?” প্রশাসন সূত্রে খবর, মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রধান। তাঁকে ফোন করে বৈঠকে আসার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তিনি ফেরেননি। শুক্রবার প্রধান বলেন, “তিন মাস আগে পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি প্রকল্পের দরপত্র ডাকে পঞ্চায়েত সমিতি। আমাকে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। বৈষ্ণবপোঁতার প্রকল্পটি রূপায়িত হলেও ভূয়েরার সৌরচালিত সাবমার্সিবল পাম্পটি বসানো হয়নি। মানুষ জলকষ্টে ভুগছেন। কেন সেই প্রকল্প হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন করায় আমাকে সভাপতি থামিয়ে দেন। উনি গ্রুপবাজি করছেন।”

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, “বৈঠকে মতবিরোধ হতেই পারে। দরপত্র ডাকার পরেও অমরপুরে একটি সৌরচালিত সাবমার্সিবল পাম্প বসেনি। ওখানে পাম্প বসানোর জায়গা পরিবর্তন করতে চাইছেন প্রধান। এ ভাবে তো জায়গা পরিবর্তন হতে পারে না। বিষয়টি জানতাম না। সে কারণে প্রধান ক্ষুব্ধ ছিলেন। মাথা গরম করে ফেলেন তিনি।”

আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারের দাবি, ‘‘দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ব্লক কার্যালয়ে কী হয়েছে জানা নেই। খোঁজ নেওয়া হবে।’’ বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাবমার্সিবল পাম্প নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। ঠিকাদারকে ডেকে সেটি করতে বলা হয়েছে। একটি ছোট ঘটনা ঘটেছিল। তা মিটে গিয়েছে। কী ভাবে ভিডিয়ো বাইরে এল, তা খতিয়ে দেখা হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Ausgram tmc clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE