Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রোগী-মৃত্যু, অশান্তি হাসপাতালে

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে কোমরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় হিরাপুরের বাসিন্দা সোনাই রুইদাস (১৭)। মৃতের পরিবারের দাবি, বুধবার দুপুর পর্যন্ত সে সজ্ঞানেই ছিল।

আসানসোল জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

আসানসোল জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০০:০৯
Share: Save:

চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগে বুধবার দুপুরে অশান্ত হয়ে উঠল আসানসোল জেলা হাসপাতাল। রোগীর পরিজনদের বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এক চিকিৎসক ও হাসপাতালের সুপারকে নিগ্রহের চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভ থামাতে গেলে ধস্তাধস্তিও বাধে। এসিপি (সেন্ট্রাল) স্বরূপ দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের বড় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতের পরিবারের তরফে হাসপাতাল সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সুপার নিখিলচন্দ্র দাস। পুরো ঘটনা নিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে কোমরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় হিরাপুরের বাসিন্দা সোনাই রুইদাস (১৭)। মৃতের পরিবারের দাবি, বুধবার দুপুর পর্যন্ত সে সজ্ঞানেই ছিল। দুপুরে খাওয়ার পর পৌনে ১টা নাগাদ এক নার্স তাকে একটি ইঞ্জেকশন দেন। পরিবারের অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরেই সোনাই নেতিয়ে পড়তে শুরু করে। বিষয়টি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের জানানো হলে তাঁরা চিকিৎসককে খবর দেন। কিন্তু চিকিৎসক পৌঁছনোর আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের বাবা মুকুল রুইদাসের প্রশ্ন, ‘‘মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ছেলে ভালই ছিল। কিন্তু ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে কী এমন হল যে সে মারা গেল?’’

এর পরেই রোগীর পরিজনেরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ জানাতে থাকেন। খবর পেয়ে হাজির হন আরও বেশ কিছু লোকজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা পুরনো ভবন ও মাল্টিসুপার স্পেশ্যালিটি বিভাগে গিয়ে ঝামেলা শুরু করেন। অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ সৌরভ মুখোপাধ্যায়কে হাতের কাছে পেয়ে তাঁকে নিগ্রহের চেষ্টা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সুপার নিখিলচন্দ্র দাস। তাঁকেও নিগ্রহের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের ক্যাম্পে মজুত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এরই মধ্যে বাহিনী নিয়ে পৌঁছন এসিপি (সেন্ট্রাল)। তার পরেই বিক্ষোভ থামে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফে সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে। সুপার বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। বিভাগীয় তদন্ত করে দেখা হবে।’’ চিকিৎসকদের নিগ্রহের চেষ্টার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়েছেন সুপার।

অন্য বিষয়গুলি:

Asansol District Hospital Death Patient
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy