ঘটনার পরে এলাকায় জটলা। নিজস্ব চিত্র
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল খাজা হোসেন (৪২) নামে এক রানিগঞ্জের আলিনগরের এক বাসিন্দার। সোমবার রাতে রানিগঞ্জের রনাই মাজারশরিফের সামনে ঘটনাটি ঘটে। এর পরে এলাকাবাসীর একাংশ কয়েকটি ট্রাকে ভাঙচুর চালানবলে অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ পেশায় গাড়িচালক খাজা হোসেন হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাজারবাঁধ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে বালি খালি করে একটি ট্রাক ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ে ট্রাকটি আচমকা তাঁকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এর পরেই এলাকাবাসীর একাংশ পরপর তিনটি বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ট্রাকে ভাঙচুর চালান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতের দিকে জনবহুল এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে পণ্যবাহী ভারী গাড়ি, ট্রাক চলাচল করে। এর ফলে, মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ছ’মাস আগে একটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। তাঁদের দাবি, সঙ্কীর্ণ এই রাস্তায় ভারী যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। রাস্তা সম্প্রসারণ করা জরুরি। বাসিন্দাদের আরও দাবি, এই রাস্তায় রাত্রে বালি, ইট, সিমেন্টবোঝাই ট্রাক চলাচলও বন্ধ করতে হবে। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মইম খানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বাসিন্দাদের দাবির কথা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট স্তরে জানানো হয়েছে।’’
এ দিকে, রানিগঞ্জ ট্র্যাফিক থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জের শিশুবাগান মোড়ের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নেমেছিল। সেই অংশটি সংস্কারের কাজ চলছে। তাই যান চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে ওই রাস্তায়। বাড়ছে যানজটও। এই পরিস্থিতিতে রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রানিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের পণ্যসামগ্রী পরিবহণের জন্য রনাই হয়ে রাস্তা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দুর্ঘটনাটির পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভায়া রনাই রাস্তায় ভারী যানবাহন চালানো যাবে বা। রানিসায়র বাইপাস হয়ে যাতায়াত করতে হবে ওই যানবাহনগুলিকে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল ২) তথাগত পাণ্ডে জানান, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। বালিবোঝাই ট্রাক যাতে ওই রাস্তাটি ব্যবহার না করতে পারে, সে দিকে নজর রাখা হবে। ‘রানিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স’-এর সভাপতি সন্দীপ ভালোটিয়া বলেন, ‘‘সব ব্যবসায়ীদের সাংগঠনিক ভাবে রানিসায়র বাইপাস ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy