—ফাইল চিত্র।
বুথ কমিটি নির্বাচন ও নানা দুর্নীতির অভিযোগে দলের দুই নেতাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে মঙ্গলকোটের কৈচর গ্রামে প্রায় ঘণ্টা ছয়েক পরে পুলিশ গিয়ে শিশির ঘোষ ও দীনেশ সাঁতরা নামে ওই দুই নেতাকে উদ্ধার করে। বিজেপির পতাকা হাতেই এক দল লোক পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তবে কোনও পক্ষ পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানাননি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ‘ঘটনাটি তৃণমূলের চক্রান্ত’। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের নানা কর্মসূচির প্রস্তুতিতে কৈচরে বিজেপির একটি বৈঠক ছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। দলের অন্যতম জেলা সাধারণ সম্পাদক শিশির ঘোষ ও মঙ্গলকোট বিধানসভার আহ্বায়ক দীনেশ সাঁতরা সেখানে যান। বিজেপি সূত্রের দাবি, ওই নেতারা কার্যালয়ে ঢুকতেই কর্মীদের একাংশ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তা নিয়ে বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, ওই নেতাদের হেনস্থা করা হয়। তাঁদের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। দলের জেলা নেতৃত্ব খবর পেয়ে ফোনে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেও ফল হয়নি। রাত ১১টা নাগাদ কৈচর ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে ওই দুই নেতাকে উদ্ধার করে।
বিক্ষোভকারীদের তরফে সৌমেন মুখ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ওই দুই নেতা তৃণমূলের ইশারায় দল চালাতে চাইছেন। কর্মীরা বিভ্রান্ত। নানা কর্মসূচির খরচ নিয়েও দুর্নীতি হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আমরা দু’জনকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’’ শিশিরবাবু ও দীনেশবাবুর সঙ্গে বুধবার বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
বিজেপির জেলা (কাটোয়া) সহ-সভাপতি অনিল দত্তের অবশ্য অভিযোগ, ‘‘আমাদের দলের প্রতীক দেওয়া পতাকা কিনে এনে তৃণমূল কর্মীরা বাইরে থেকে কার্যালয়ে তালা দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা করছি। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা হবে।’’ মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এলাকার মানুষ সব জানেন। দলের লজ্জা ঢাকতে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy