বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কংগ্রেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। । ফাইল চিত্র
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কংগ্রেসে এসে সময়ে পরীক্ষা নেওয়া ও ফল বার করার দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরেই পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে নিয়ামকের সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ তুলে তাঁর দায়িত্ব ‘খর্ব’ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘ভাল কিছু করতে গেলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। আমরাও সে পথে হাঁটছি। এ ছাড়া, উপায় নেই। আমরা চাইছি, পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ফল বার করতে।’’ যদিও পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পাল অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘কে বলল, রেজাল্ট ঠিক সময়ে বেরোয় না! তেমন হলে, সে তথ্য আমাকে দেওয়া হোক। এর বাইরে আর কিছু বলব না।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের দাবি, ঘনিষ্ঠ মহলে পরীক্ষা নিয়ামকের (কন্ট্রোলার) কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন উপাচার্য। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি দাবি করেছেন, সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা ব্যবস্থা চালানো ও সময়ে ফল বার করার জন্য বারবার নিয়ামকের দফতরের সঙ্গে বৈঠক, কী ভাবে এগোতে হবে, তার রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ হয়নি। উপাচার্যের ক্ষোভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে পারছে না পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর একটি সূত্রে দাবি করেছে, কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের ডিনরাও উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টার পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন, পরীক্ষক তৈরি। অথচ, পরীক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণে ‘গাফিলতি’ করেছে পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর। স্নাতক স্তরে প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও খাতা দেখার জন্য পরীক্ষকের কাছে চিঠি পৌঁছয়নি। খাতা দেখার প্রক্রিয়া দেরিতে শুরু হলে ফল বার হতেও দেরি হবে, দাবি তাঁদের। উপাচার্যের নির্দেশে বুধবার দুপুরে দুই ডিনের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেন পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতিবাবু।
শিক্ষামন্ত্রীর ‘বার্তা’ পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালের পরিকাঠামো ঠিক করতে উঠেপড়ে লেগেছেন উপাচার্য। বিজ্ঞান কংগ্রেসের অনুষ্ঠান চলার ফাঁকেই দুই ডিন ও পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে বারবার কথা বলে সমন্বয়ের অভাব কোথায়, তা জানার চেষ্টা করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীভূত দায়িত্বের বদলে পরীক্ষা নিয়ামকের দায়িত্ব কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্নাতক স্তরের সেমেস্টার পরীক্ষার দায়িত্ব সামলাবেন ডেপুটি কন্ট্রোলার ও সহকারী কন্ট্রোলার। আর স্নাতকোত্তর পরীক্ষার দায়িত্ব পাচ্ছেন যুগ্ম পরীক্ষা নিয়ামক। আগামী সপ্তাহে পরিচালন সমিতির (ইসি) বৈঠকে ওই সব আধিকারিকদের স্বাধীন দায়িত্বভারে সিলমোহর দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy