জামাইপাড়ায় বসানো হয়েছে এই ফলক। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় নর্দমা তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এখনও তা হয়নি। কিন্তু নর্দমা গড়ার খরচ, শ্রমদিবস-সহ নানা তথ্য দিয়ে ফলক বসানো হয়েছে এলাকায়। অণ্ডালের উখড়া পঞ্চায়েতের জামাইপাড়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ তৈরি হল সোমবার। পঞ্চায়েতের তরফে দাবি করা হয়, ফলকটি তারা বসায়নি। তাহলে পঞ্চায়েতের নাম করে ওই ফলক কে বা কারা বসাল, তার তদন্ত দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইপাড়ায় নর্দমা নেই। বারবার পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানিয়েও তা তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ। রাস্তার দু’দিকে প্রায় ষাটটি পরিবারের বাস। নর্দমা না থাকায় যত্রতত্র নোংরা জল জমে থাকে। রাস্তায় দিয়েও তা বয়ে যায়। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দুর্গন্ধ ছাড়াও মশা-মাছির উপদ্রবে তাঁরা নাজেহাল বলে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। বিভিন্ন রোগের প্রকোপও দেখা দিচ্ছে, অভিযোগ তাঁদের। স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি থেকে খেলার মাঠ পর্যন্ত নর্দমা তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে পাড়ার শেষ প্রান্তে পাকা নর্দমা তৈরির তথ্য দিয়ে কে বা কারা একটি ফলক বসিয়ে রেখে গিয়েছে। তাতে লেখা আছে, কাজ শুরু হয়েছে গত ২৬ জুন। নর্দমা তৈরির খরচ দেখানো হয়েছে দু’লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩১ টাকা। আনুমানিক ১,১০৮টি শ্রমদিবস তৈরির কথাও লেখা রয়েছে। সোমবার সকালে এই ফলক দেখে অবাক হন বাসিন্দারা। কী উদ্দেশ্যে কে বা কারা এটি বসাল, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এর পিছনে কোনও দুর্নীতি রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁদের কেউ-কেউ।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রিয়ঙ্কা হাজরা পাল অবশ্য বলেন, “পাড়ায় নর্দমা তৈরির প্রস্তাব মাস চারেক আগে পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছি। অনুমোদন পেলে দরপত্র ডেকে কাজ শুরু হবে বলেই জানি। কিন্তু কাজ শুরুর আগেই পঞ্চায়েতের নামে কারা ফলক বসাল, আমার জানা নেই। প্রধানকে বিষয়টি জানাব।” উখড়া পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা ঘোষ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy