—প্রতীকী চিত্র।
রাতে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর ‘প্রেমালাপ’ শুনে তাঁকে মারতে মারতে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েও তাঁর গায়েও হাত তোলেন মহিলার স্বামী। এর পর দু’জনের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। দু’জনেই আহত হয়ে দ্বারস্থ হন থানার। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ বড়পোশলা গ্রামের দাসপাড়ায় ধন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। ডালিম দাস নামে যুবকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ফোনে সুকুমার দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়। স্থানীয়দের দাবি, ডালিম স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করেন। তাঁকে টানতে টানতে সুকুমারের বাড়িতে নিয়ে যান। সে সময় ডালিমের হাতে ছিল একটি ক্রিকেট ব্যাট। সুকুমারের বাড়িতে যেতেই ডালিমের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। ডালিম ব্যাট দিয়ে সুকুমারের মাথায় সজোরে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। সুকুমারের চিৎকার শুনে তাঁর বাড়ির লোকজন বেরিয়ে আসেন। তাঁরা ডালিমকে ধরে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। গভীর রাতে এমন ঘটনায় বিরক্ত প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশকে।
সুকুমার এখনও বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দুই পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যে বধূকে নিয়ে এই ঝামেলা, তাঁর সাফাই, ‘‘স্বামী তো মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। যাঁকে ভালবাসি, তাঁর সঙ্গেই এ বার ঘর করতে চাই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার স্বামী আমাকে কোনও দিন ভালবাসেনি। সন্দেহ করত। মারধরও করত। শুক্রবার রাতে মারতে মারতে বাড়ি থেকে সুকুমারের বাড়িতে দিয়ে চলে যায়। বলে আমার সঙ্গে ঘর করবে না।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বধূর স্বামী ডালিম পেশায় দিনমজুর। বছর দশেক আগে তাদের বিয়ে হয়। দম্পতির ৯ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। অন্য দিকে, ওই পাড়ারই বাসিন্দা সুকুমার স্ত্রী মারা গিয়েছেন প্রায় দেড় বছর আগে। এক ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন সুকুমার। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুকুমারের সঙ্গে বছর চারেক ধরে ‘সম্পর্কে’ রয়েছেন ওই বধূ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy