পূর্ব বর্ধমানের বেশ কয়েক জন আবাস প্রকল্প থেকে বঞ্চিত বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন। ফাইল চিত্র।
আবাস যোজনা পরিদর্শনে ফের বর্ধমানে এলেন কেন্দ্রের মনিটরিং কমিটির দু’জন সদস্য। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁরা বর্ধমান ১ ব্লকের সরাইটিকর পঞ্চায়েতের দু’টি গ্রামে আবাস যোজনার জন্য আবেদন ও অভিযোগ করা জনা বারো বাসিন্দার বাড়ি ঘুরে দেখেন। প্রকল্পে গৃহীত সিদ্ধান্তের (রেজ়ুলেশন) খাতা পাওয়া যায়নি বলে মনিটরিং কমিটির সদস্যেরা বিরক্ত প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানের বেশ কয়েক জন আবাস প্রকল্প থেকে বঞ্চিত বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের বক্তব্য আজ, বুধবার বেলা ১১টার সময় কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যেরা শুনবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আবাস প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। সে সব খতিয়ে দেখার জন্য জানুয়ারিতে জেলায় আসে কেন্দ্রীয় দল। তারা ফিরে গিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী জেলা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানায়। ঠিক কী ব্যবস্থা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ফের মঙ্গলবার জেলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য রঘুবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ ও রীনা নগর। এ দিন বর্ধমান ১ ব্লকের আমাড় ও কোমলপুর গ্রাম পরিদর্শনের সময়ে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কাজল রায় ও মহকুমাশাসক (বর্ধমান উত্তর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাস।
সরাইটিকর পঞ্চায়েতের আমাড় ও কোমলপুর গ্রামের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পরিদর্শন করেন। দুই গ্রামের তারক ক্ষেত্রপাল, সরস্বতী ক্ষেত্রপাল, খায়রুন্নেসা বেগম মল্লিক, ধর্মবালা দাস, নবকুমার রায়, বাপন সূত্রধর-সহ ১২ জনের বাড়িতে যান। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় দলের কাছে প্রধানত অভিযোগ ছিল, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কেউ-কেউ অনুদান পেয়েছেন। আরও কিছু অভিযোগের সত্যতা খোঁজার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় দলটি। যদিও পরিদর্শনের পরে অভিযোগের কোনও সারবত্তা কেন্দ্রীয় দল পায়নি বলে প্রশাসনের কর্তাদের দাবি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় দলটি কিছু পদ্ধতিগত নিয়মের বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন ব্লক প্রশাসনকে। এ দিন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যেরা বাড়িগুলি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার তাঁরা গলসি ১ ও মেমারী ২ ব্লক যেতে পারেন।
আবাস প্রকল্পে বাড়ি মিলছে না বলে পূর্ব বর্ধমান থেকে অনেকেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও রায়নার পাঁচ জনের সঙ্গে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে কথা বলে কেন বাড়ি পাননি তা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ও মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা বোঝার চেষ্টা করবেন বলে খবর। তবে এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা কিছু বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy