মাথা ফেটে জখম তৃণমূল কর্মী। — নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ম্যাচ নিয়ে দুই শিবিরে ভেঙে গেলেন বর্ধমান শহরের একাংশ তৃণমূল সমর্থক। আর তা নিয়ে রবিবার রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল বর্ধমানের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হারাধনপল্লি এলাকায়। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মারপিটে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনায় আহত হন কয়েক জন।
রবিবার রাতে হারাধনপল্লি এলাকায় মাঠে বড় পর্দায় বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখার আয়োজন করেছিলেন ওই এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ সবুর আলি ওরফে কালুয়া। পাল্টা কালুয়ার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত তৃণমূল নেতা পিকু রায় এবং দীপু রায়ের গোষ্ঠীও স্থানীয় ক্লাবে খেলা দেখার আয়োজন করে। তৃণমূল সমর্থকদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, কালুয়া গোষ্ঠী মূলত আর্জেন্টিনার সমর্থক। অপর দিকে তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, পিকু এবং দীপুর অনুগামীরা ফ্রান্সের সমর্থক। অভিযোগ, ম্যাচ আর্জেন্টিনা জিততেই একে অপরের বিরুদ্ধে কটূক্তি করতে থাকে। পরবর্তী কালে সেই বচসা ক্রমশ হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এমনকি ইট, পাথর এবং লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলেও দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তৃণমূল নেতা শেখ সবুর আলি অভিযোগ করেন, খেলা শেষ হতেই পিকু রায়ের গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। আবার তৃণমূল নেতা পিকু রায়ের পাল্টা অভিযোগ, খেলার সময় সবুর আলির গোষ্ঠীর লোকজন বার বার গালিগালাজ করছিল। এর পরই তাঁর অনুগামীরা তেতে ওঠে বলে সাফাই পিকুর।
বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কাণ্ডে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে একে দলের গোষ্ঠী কোন্দল আখ্যা দিতে নারাজ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘‘রাতে পাড়ায় খেলা দেখা নিয়ে অশান্তি হয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল কোথায়? ও সব বাজে কথা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy