টেট পরীক্ষা শুরু। — ফাইল চিত্র।
এ শুধু ছাত্রছাত্রীদের নয়, যেন প্রশাসনেরও ‘পরীক্ষা’। আজ, রবিবার সুষ্ঠু ভাবে টেট পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি সেরেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতায় নিযুক্ত হওয়ার পরীক্ষায় বসতে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের প্রায় ৩২ হাজার প্রার্থী। জেলার ৫৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৫৫টিতে জেলা পুলিশ, একটিতে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে হইচইয়ের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মেনে সব কেন্দ্রকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘টেট পরীক্ষার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৫৬টি কেন্দ্রে তিন জন করে দায়িত্বে রয়েছেন। কেন্দ্রের ইন-চার্জ সেই স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ, পর্যবেক্ষক থাকছেন কলেজের শিক্ষকেরা। এ ছাড়াও, প্রতিটি কেন্দ্রে সরকারি স্তরের এক জন করে আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্র খোলা হবে। ১১টার পরে আর কোনও প্রার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রে কোনও অভিভাবক ঢুকতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
কালনার পরীক্ষার্থী সঞ্জয় শর্মার বক্তব্য, ‘‘এর আগে টেট নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। এখনও হচ্ছে। তবে হাই কোর্ট যে ভাবে পরপর নির্দেশ দিয়েছে, তাতে আশা করছি, এ বার সব স্বচ্ছ ভাবে হবে।’’ কাটোয়ার ঊষসী দত্ত বলেন, ‘‘সব কিছু ভাল ভাবে হবে ধরে নিয়ে এ বার ভাল করে প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, ফল ভাল হবে।’’ কালনার অরিন্দম সাহা, আবসানা সুলতানাদেরও দাবি,“মাঝে টেট নিয়ে নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ দেখে হতাশ লাগছিল। আশা করছি, এ বার দুর্নীতির সাহস পাবেন না কেউ। স্বচ্ছ ভাবেইপরীক্ষা হবে।’’
অনেক পরীক্ষার্থী আবার পরিবহণ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে কেন্দ্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, যাতায়াতে সমস্যা হবে না। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হাজারখানেক বাস রাস্তায় থাকবে। পরিবহণ দফতরের আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘অন্য দিনের তুলনায় রবিবার ভোর থেকে একই রুটে ঘনঘন বাস চলবে। অতিরিক্ত বাস মজুত রাখা হচ্ছে। কোনও গাড়ি বিকল হয়ে গেলে দ্রুত রাস্তা থেকে সরানোর জন্য ক্রেন রাখা হচ্ছে।’’
পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণেও জোর দিয়েছে জেলা পুলিশ। ৫৫টি কেন্দ্রেই পুলিশের এক জন আধিকারিক দায়িত্বে থাকবেন। তাঁর সঙ্গে কনস্টেবল, মহিলা পুলিশকর্মী-সহ বাহিনী থাকবে। পুলিশ সুপার বলেন, “বর্ধমান শহরে চারটি-সহ জেলার ১০টি জায়গায় ‘ক্যুইক রেসপন্স টিম’ (কিউআরটি) থাকবে। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ জেলা পুলিশের তরফে বর্ধমান স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে ‘সহায়তা কেন্দ্র’ খোলা হবে। এ ছাড়া, কাটোয়া-কালনার মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেও ‘সহায়তা কেন্দ্র’ খোলা হবে বলে পুলিশ সুপার জানান। পরীক্ষা পরিচালনায় অন্যতম দায়িত্বে থাকা গোপাল পাল বলেন, “প্রত্যেকটা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy