—ফাইল চিত্র।
সারাইয়ের জন্যে শনিবার গভীর রাতে মেমারির জিটি রোডের কাছে হাওড়া-বর্ধমান (মেন) রুটের ডাউন লাইন ‘ব্লক’ থাকা সত্ত্বেও সেই লাইনে চলে আসে ট্রেন। লাইনে কর্মরত শ্রমিকেরা লাল কাপড় দেখিয়ে ট্রেন দাঁড় করান। এই ঘটনায় ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা মেমারি স্টেশনের দুই আধিকারিককে রবিবার সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছে রেল।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “মেমারির ঘটনায় অপারেটিং বিভাগের আধিকারিকদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।’’ সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিকদের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
রেল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১২টা ১০ থেকে ২টো পর্যন্ত মেমারির ডাউন লাইন ‘ব্লক’ ছিল। ওই সময়ে সব ট্রেন তৃতীয় লাইন দিয়ে যাতায়াত করাতে হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে সীতামারি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস ট্রেনকে ওই লাইনের উপর দিয়ে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো ওই লাইনে ট্রেনটি এসেও পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে দূর থেকে ডাউন লাইনে ট্রেন আসছে দেখে শ্রমিকেরা লাল পতাকা, লাল কাপড় নাড়তে থাকেন। তা দেখে যেখানে কাজ চলছিল, সে জায়গাতেই ট্রেন দাঁড় করান চালক। ওই লাইনে কাজ করা শ্রমিকদের একাংশের দাবি, “ডাউন লাইনে জিটি রোডের ধারে কাজ করছিলাম। আচমকা দেখি, এক্সপ্রেস ট্রেন তীব্র গতিতে ডাউন লাইন দিয়ে ছুটে আসছে। আমাদের কাছে থাকা লাল পতাকা, লাল রঙের বড় কাপড় ও টর্চের আলো দেখাতে থাকি। আমাদের কাছ থেকে কিছুটা দূরে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে।’’
রেল সূত্রে জানা যায়, ওই ট্রেনটিকে পরে অন্য লাইন দিয়ে শিয়ালদহের উদ্দেশে পাঠানো হয়। ব্যান্ডেলে পৌঁছানোর পরে, ওই ট্রেনের চালক হাওড়া ডিভিশনে ‘রিপোর্ট’ করেন। পরে শিয়ালদহ পৌঁছলে বিস্তারিত ভাবে রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান চালক। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রেলের তরফে প্রাথমিক তদন্ত করার পরে রবিবার সকালে ওই আধিকারিকদের হাওড়া ডিভিশনের দফতরে তলব করা হয়। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ‘কথা’ শোনার পরে সাসপেনশন ও বিভাগীয় তদন্ত শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy