এই সেই কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র
তালা ভেঙে গ্রামে দলের কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাতারের বনপাশ পঞ্চায়েতের আমবোনা গ্রাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ওরগ্রাম ফাঁড়ি ও ভাতার থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, আমবোনা গ্রামে বছর দশেক আগে ইটের গাঁথনি ও টিনের ছাউনির একটি তৃণমূল কার্যালয় গড়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ জহর বাগদির দাবি, তিনি প্রধান থাকাকালীন কার্যালয়টি তৈরি হয়। তিনি এবং বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা অলকা ঘোষ কর্মীদের নিয়ে সেখানে দলীয় কাজকর্ম করেন। কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি বর্ধমানে হাসপাতালে ছিলেন। সে সময়ে বনপাশ অঞ্চলের নবনিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি আমবোনা গ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে যন্ত্র দিয়ে তালা কেটে কার্যালয়টি দখল নিতে চান। ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের প্ররোচনায় অঞ্চল সভাপতি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
অঞ্চল সভাপতি শান্তিরাম মণ্ডলের পাল্টা দাবি, ‘‘নিজেদের কার্যালয় দখল করার কোনও প্রশ্নই নেই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তা মাথায় রেখে শনিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামে কর্মসূচিতে যাওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন কার্যালয়টি খোলা হচ্ছিল না, চাবিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই তালাটি কাটতে হয়েছে।’’ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আপাতত নতুন একটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কার্যালয়ে। এলাকায় নজরদারি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ব্লক সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, ‘‘এটি অঞ্চলের ব্যাপার। এলাকায় দিন কয়েক আগেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি হয়েছে। দলের সক্রিয় কর্মীরা বন্ধ কার্যালয় খুলতে চেয়েছেন। তাতে উচ্চ নেতৃত্বের অনুমতি বা প্ররোচনার প্রয়োজন নেই। এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কার্যালয়টি সব সময় খোলার ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy