—প্রতীকী চিত্র।
জেলার বহু আসনে যেখানে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের জয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে কার্যত উলট-পুরাণ রায়নায়। দুই পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূলই। ওই দুই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে সিপিএম।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রায়না ১ ব্লকের শ্যামসুন্দর পঞ্চায়েতের ৯৮ নম্বর বুথ (পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর আসন) অনগ্রসর জাতির জন্য সংরক্ষিত। এই আসনে তৃণমূল চাঁদ মহম্মদ মল্লিককে প্রার্থী করার কথা ভেবেছিল। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতিগত শংসাপত্র প্রার্থী জমা দিতে পারেননি। শনিবার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। ওই আসনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সিপিএমের ইসমাইল মোল্লা। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বামদেব মণ্ডল বলেন, ‘‘জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে সমস্যা হয়েছে।’’
রায়না ২ ব্লকের পাইটা ২ পঞ্চায়েতের ১ নম্বর আসনেও (বুথ নম্বর: ১৯১) তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়েনি। এই আসনটি অনগ্রসর শ্রেণির মহিলার জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, রাজ্য থেকে পাঠানো তালিকায় অনগ্রসর শ্রেণির পুরুষের নাম ছিল। আবার দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর তরফে অনগ্রসর শ্রেণির পুরুষ নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দেন। ফলে কোনও ভাবেই আর দলের কেউ সেখানে প্রার্থী হতে পারেননি। ওই বুথে সিপিএমের প্রার্থী রয়েছেন সবিতা মাথুর। ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসীম পালের দাবি, ‘‘মনোনয়নের দিন সকালে প্রার্থিতালিকা পেয়েছি। খতিয়ে দেখার সময় মেলেনি। একটা দিন সময় পেলে প্রার্থী দিতে অসুবিধা হত না।’’ এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক (রায়না) শম্পা ধাড়া। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মির্জা আখতার আলির দাবি, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে ওই দু'টি গ্রাম-সহ রায়নার বিভিন্ন এলাকায় পা পর্যন্ত রাখতে পারিনি। কঠিন সময়ে দু’টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারল না, অথচ আমাদের প্রার্থী আছে— এটা দলের কর্মীদের উৎসাহিত করবে।’’
শনিবার মনোনয়ন পরীক্ষার পরে শ্যামসুন্দরে তৃণমূলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জাহানুর হকের অভিযোগ, ‘‘সিপিএমের লোকজন ইট ছুড়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। আরও কয়েক জন জখম হন।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।
বর্ধমান ১ ব্লকের বাঘার ২ পঞ্চায়েতের সিমডাল-মিলিকপাড়ায় তাদের প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে ব্লক অফিসে তুলে এনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চেষ্টা করেছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির। দলের বর্ধমান জেলা সাংগঠনিক সভাপতি অভিজিৎ তায়ের দাবি, ‘‘তিন জন প্রার্থীকে গাড়িতে ব্লক অফিসে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁদের বার করা হয়েছে।’’ ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী কার্তিক শী অভিযোগ করেন, ‘‘দুপুরে গাড়িতে তুলে ব্লক অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আমরা মনোনয়ন তুলব না বলে জেদ ধরেছিলাম।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘আমাদেরও দুই প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।’’
তৃণমূলের নেত্রী কাকলি তায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘বহু জায়গায় বিরোধীরা প্রার্থী পায়নি। ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিরোধীদের নাটক বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy