উদ্বোধনে নেতা। ফাইল চিত্র।
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মীদের বদলে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন এক তৃণমূল নেতা। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মিরশা-গোয়ালডাঙা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনে এমনটাই ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের কটাক্ষ, সরকারি পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধনের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি কি কম পড়েছে?
ঘটনার কথা স্বীকার করে আউশগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইন্দাজুল শেখের দাবি, ‘‘রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, এক জন সমাজকর্মী হিসেবে আমি ফিতে কেটে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করেছি।’’ বিডিও (আউশগ্রাম ১) অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (আউশগ্রাম ১) সায়ন্তন ঘোষের দাবি, তাঁরা সেখানে উপস্থিত না থাকায় কী ঘটেছে, জানেন না। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি না।খোঁজ নেব।’’
আউশগ্রাম ১ ব্লকের আউশগ্রাম পঞ্চায়েতের মিরশা-গোয়ালডাঙা এবং আলেফনগর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের এ দিন উদ্বোধন হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, মিরশা-গোয়ালডাঙা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবণী লোহার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকলেও, কী ভাবে ফিতে কাটেন আউশগ্রামের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি?
এলাকার বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর মণ্ডলেরা দাবি করেন, “কোনও সরকারি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করার কথা সরকারি আধিকারিক বা জনপ্রতিনিধির। এটাই প্রথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড় করিয়ে ফিতে কাটলেন এক তৃণমূল নেতা! তৃণমূল যে সংসদীয় রীতিনীতি মানে না, এটা তার প্রমাণ।’’
ইন্দাজুলের দাবি, “সমাজকর্মী হিসাবে আমাকে ফিতে কাটতে অনুরোধ করায় আমি তা করেছি। সেখানে প্রধান ছিলেন, আমি দেখতে পাইনি।’’ বিএমওএইচ বলেন, “এ দিন সরকারি একটি বৈঠক থাকায় আমি ওই অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি। তবে এলাকার বিধায়ক থেকে বিডিও সবাইকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা আসতে পারেননি। যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কেউ উদ্বোধন করেছেন। কী ঘটেছে, জানা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy