আছড়ায় সেই বাড়ি। নিজস্ব চিত্র
খাস জমি দখল করে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সালানপুরের কুসুমকানালি আমবাগান এলাকার বাসিন্দা ওই তৃণমূল নেতা দীনেশ লালকে বাড়ি খালি করার নোটিস পাঠিয়েছে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। শনিবার দফতরের আধিকারিকেরা যন্ত্র নিয়ে বাড়িটি ভাঙতেও যান। তবে এলাকার কয়েকজনের বাধায় তাঁদের ফিরে যেতে হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার অবশ্য দাবি, পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই বাড়ি তৈরি করেছেন তিনি। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
সালানপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর (বিএলএলআর) সূত্রে জানা গিয়েছে, আছড়া পঞ্চায়েতের অধীনে কুসুমকানালি আমবাগান এলাকায় আছড়া মৌজার ১৩৮ নম্বর দাগে ওই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। প্রায় আট কাঠা খাস জমি দখল করে গড়া দোতলা বাড়িটিতে ঘরের সংখ্যা ১২টি। একটি মন্দিরও রয়েছে। বিএলএলআর দফতরের আধিকারিক রুদ্ররূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাড়িটি সরকারি জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এটি ভাঙার ব্যবস্থা হচ্ছে।’’
বিএলএলআর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তকে বাড়ি খালি করার নোটিস পাঠানো হয়েছে। শনিবার দফতরের আধিকারিকেরা যন্ত্র নিয়ে এসে বাড়িটি ভাঙার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু বাধা পেয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁদের। তবে তাঁরা জানান, অভিযুক্ত বিএলএলআর দফতরের নোটিসকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করে আসানসোল আদালতে আবেদন করেছেন। তাই আদালতের রায় পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন।
দীনেশবাবু অবশ্য জানান, তিনি নোটিস পাওয়ার পরেই বাড়ি খালি করে দিয়েছেন। এ দিন বিএলএলআর দফতরের লোকজন বাড়ি ভাঙতে এলে কিছু লোকজন তাঁদের বাধা দেওয়ার সময়ে সেখানে ছিলেন তিনি নিজেও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছি। সে কথা আদালতেও জানিয়েছি। অন্যায় হয়ে থাকলে আমি জরিমানা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু বাড়ি যেন না ভাঙা হয়।’’ তাঁর কাছে জমির দলিল বা সরকারি পাট্টার নথিপত্র আছে কি না, সে প্রশ্নে দীনেশবাবু দাবি করেন, ‘‘দলিল নেই। তবে ১৯৮৪, ২০০২ ও ২০০৮ সালে পাট্টা চেয়ে আবেদন করেছি। এর পরেই আছড়া পঞ্চায়েতের তরফে আমাকে ওই জমিতে বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’
বিএলএলআর দফতরের আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, ওই নেতার কাছে তেমন কোনও অনুমতি নেই। আছড়া পঞ্চায়েতের প্রধান হরেরাম তিওয়ারি বলেন, ‘‘শুনেছি ২০০০ সালে তৎকালিন পঞ্চায়েত প্রধান অনুমতি দিয়েছিলেন। এর বেশি কিছু জানি না।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেই সময়ে সিপিএম পরিচালিত আছড়া পঞ্চায়েতের প্রধান প্রয়াত হয়েছেন।
দলের নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা কো-অর্ডিনেটর ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘অভিযোগ প্রমাণ হলে অবশ্যই প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy