Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Political Clash

Political Clash: কার্যালয় ‘দখল’ ঘিরে চাপান-উতোর দু’দলে

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (‌সেন্ট্রাল ২) তথাগত পাণ্ডে জানান, সামান্য গোলমাল হয়েছিল। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে।

সাতগ্রামের ঘটনা। রবিবার।

সাতগ্রামের ঘটনা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৮:০৫
Share: Save:

ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসনে বিজেপির কার্যালয় ছিল। সেটি রবিবার তৃণমূল দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। পরে, দলের নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে ফের সেটির ‘দখল’ নেয় বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দিন চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে সাতগ্রাম এরিয়ার নাগেশ্বর কোলিয়ারি এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগ্রাম গ্রাম লাগোয়া নাগেশ্বর কোলিয়ারি এলাকায় ইসিএলের ওই পরিত্যক্ত আবাসনে আনুমানিক দু’শো মিটারের মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের দু’টি দলীয় কার্যালয় আছে। বিজেপির জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রের ‘কো-কনভেনার’ তথা এলাকার বাসিন্দা সাধন মাজির অভিযোগ, সকাল ১০টা নাগাদ স্থানীয় কাউন্সিলর সুব্রত অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূলের শ’খানেক কর্মী, সমর্থক পাঁচিল দিয়ে ঘেরা তাঁদের কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। তার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি, বিজেপির দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার কার্যালয়ের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এর পরে চার দিকে তৃণমূলের পতাকা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙিয়ে দেওয়া হয়। সাধন বলেন, “দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখি আমরা যে তালা দিয়েছিলাম, সেটি ভেঙে নতুন তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এর পরে, কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের লোকজন আমাদের ঘিরে ধরেছিল। পুলিশ আমাদের কার্যালয় ছেড়ে চলে যেতে বলে।”

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্যরা। অগ্নিমিত্রা জানান, তিনি পুলিশ-প্রশাসনকেই তালা ভেঙে ঢোকার ব্যবস্থা করতে বলেন। তিনি বলেন, “এর পরেই আমরা কার্যালয় পুনর্দখল করি। আমি বলতে চাই, ভোটে হেরে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে, দলীয় কার্যালয় দখল করা হলে, আমরা চুপ করে থাকব।”

এ দিকে, কাউন্সিলর সুব্রত অবশ্য দাবি করেন, “বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে কেউ বসেন না। রাতে মদের আসর বসে। গ্রামবাসীই এ দিন তার প্রতিবাদ করেছেন। আমরা কোনও কার্যালয় দখল করিনি।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাধন। পাশাপাশি, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, “কার্যালয় দখল করাটা আমাদের দলের সংস্কৃতি নয়।”

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (‌সেন্ট্রাল ২) তথাগত পাণ্ডে জানান, সামান্য গোলমাল হয়েছিল। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে, এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলছে। এ দিকে, ইসিএলের আবাসনে দলীয় কার্যালয় কেন, সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা।

অন্য বিষয়গুলি:

Political Clash TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy