Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Subhas Sarkar

Subhas Sarkar: মন্ত্রীকে কালো পতাকা, বিপ্লবীর নামেও বিতর্ক

বর্ধমান ১ ব্লক তৃণমূল কিসান খেত মজদুর সেলের সভাপতি রাজেন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হলদি দে’পাড়ায় রাস্তা ধারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

সুভাষ সরকারের গাড়ির দিকে দেখানো হচ্ছে কালো পতাকা। নিজস্ব চিত্র

সুভাষ সরকারের গাড়ির দিকে দেখানো হচ্ছে কালো পতাকা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গলসি, বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২১ ০৬:৪৩
Share: Save:

‘শহিদ সম্মান যাত্রায়’ বর্ধমান থেকে গলসি যাওয়ায় পথে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিনই বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভুল বলে বিতর্কেও জড়ান তিনি।

বুধবার বর্ধমান ১ ব্লক তৃণমূল কিসান খেত মজদুর সেলের সভাপতি রাজেন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হলদি দে’পাড়ায় রাস্তা ধারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে কোনও গোলমাল হয়নি। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় আমাদের সাংসদের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। যুব নেতাদের মারধর করা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি মাত্র।’’ পরে, সুভাষবাবু বীরভূমের সিউড়িতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘লোকই ছিল না। একটা মাত্র কালো পতাকা নিয়ে কয়েকটি ছেলে দাঁড়িয়েছিল। এর কোনও মূল্য নেই। আর ত্রিপুরায় বিজেপি কিছু করেনি৷’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওঁরা নিজেরা নাটক করছেন (তৃণমূল)। নাটুকে পার্টি। ওঁরা কী কাজ করেছেন, সারা দেশ দেখেছে। পার্লামেন্টের টেবিলের উপর নাচ করেছেন! ওঁদের তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা উচিত ছিল।’’

এ দিন বর্ধমানে জেলা কার্যালয়ে একটি সভা করেন তিনি। ১০৮ শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে যান গলসির চান্না আশ্রমে। সেখানেই বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভুল বলে বিতর্কে জড়ান সুভাষবাবু। মন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামে অংসখ্য প্রাণ বলিদান হয়েছে। অসংখ্য প্রাণ নিবেদিত হয়েছে। সেই রকম একটা নিবেদিত প্রাণ যতীন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘চান্না গ্রামের দুই মহান সন্তান যতীন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধক কমলাকান্ত। তাঁদের কেন্দ্র করে চান্না গ্রামের আশ্রম। তাঁদের জন্যই এখানে আসা।’’ তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ, ‘ভুল বলে মনীষীদের অপমান করা বিজেপির কালচার’।

আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত ভগৎ সিংহের ঘনিষ্ঠ বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৭ সালে গলসি ২ ব্লকের চান্না গ্রামে আশ্রমটি তৈরি করেন। ঋষি অরবিন্দ, ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত, বারীন ঘোষদের মতো বিপ্লবীরা দেশ স্বাধীন করার পরিকল্পনা করেছেন এখান থেকে। এ দিন ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’য় বর্ধমান থেকে বীরভূম যাওয়ার পথে এখানে আসেন সুভাষবাবু। তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের দাবি, ‘‘ভুল নাম বলে মহান বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্মান করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এমন বক্তব্যকে ধিক্কার জানাচ্ছি।’’

সুভাষবাবুকে বারবার ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানানো হয়। বিজেপির জেলা সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি তাড়াহুড় করে হয়ত বলে ফেলেছেন। তবে তৃণমূল বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের মুখে সমালোচনা মানায় না।’’

গুসকরাতেও একটি পথসভা করেন মন্ত্রী। দলের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য কার্যকর্তাদের নির্দেশ দেন। তাঁর পরামর্শ, ‘‘প্রয়োজনে গোপনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাঁদের পাশে থাকুন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা মানুষ ঠিকমত পাচ্ছেন কি না, সে দিকে সজাগ নজর রাখুন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Subhas Sarkar TMC Black Flag
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy