কাটোয়া ১ ব্লকে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শন। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন্দ্রের অনুসন্ধান দলের সফর শেষ হল রবিবার। দিনভর কাটোয়া ১ ব্লকের গিধগ্রাম ও কোশীগ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল দলটি। শুক্র ও শনিবারের মতো এ দিনও নিজেদের তালিকা ধরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (পিএমওওয়াই) প্রকল্প খতিয়ে দেখেন দলের সদস্যেরা। তবে একশো দিনের কাজ নিয়ে কোনও উৎসাহ দেখাননি। সফর শেষে সাধারণত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে অনুসন্ধান দল। কিন্তু এ বার কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে অনুসন্ধান দলটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেননি। ফলে তিন দিন ধরে জেলার দু’টি ব্লকের একাধিক গ্রামে প্রথম পর্যায়ে তৈরি বাড়ি ও দ্বিতীয় পর্যায়ের উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে অনুসন্ধান দলের কী ধারণা হল তা ‘অজানা’ থেকে গেল প্রশাসনের।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “জেলায় ঢোকার পরে আমাদের সঙ্গে অনুসন্ধান দলটির বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু সফর শেষে বৈঠক হয়নি। তবে যে খবর এসেছে, তাতে অনুসন্ধান দলটি কোনও খুঁত পায়নি।” এ দিন কাটোয়া ১ ব্লকের গিধগ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটারিয়া ও কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতের সুনিয়া গ্রামে যায় দলটি। ব্লক সূত্রে জানা যায়, কাঁটারিয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি দু’টি বাড়ি নিয়ে অনুসন্ধান দলটি প্রশ্ন তুলেছিল। পঞ্চায়েতের তরফে তার জবাব দেওয়া হয়।
বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কাঁটারিয়া গ্রামে গিয়ে দশটি মতো বাড়ি পরিদর্শন করে দলটি। দু’টি বাড়ি নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম পর্যায়ে তৈরি বলে দেখানো একটি বাড়ির দেওয়াল পাকা হলেও বাড়ির একটা অংশ মাটির। আবার একটি বাড়ির দেওয়াল পাকা হলেও ছাদে অস্থায়ী ছাউনি রয়েছে। এর ব্যাখা চাইলে দু’টি বাড়ির মালিক ও পঞ্চায়েতের কর্তারা জবাব দেন। যা শুনে দলটি সন্তুষ্ট বলে মনে করছেন পঞ্চায়েতের কর্তারা। এরপরে তাঁরা দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ বলে বাদ যাওয়া তিনটি বাড়ি ঘুরে দেখেন ও ছবি তোলেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ কোশিগ্রামের সুনিয়া গ্রামে গিয়ে তৈরি হওয়া বাড়িগুলি দেখার পরে তালিকায় নাম থাকা বেশ কয়েকটা বাড়িও তাঁরা দেখেন।
গ্রামবাসী প্রদীপ হাজরা, অঞ্জলি দাস, সুনীল হাজরারা তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন, “আমরা ছিটেবেড়া বাড়ির উপরে ত্রিপল টাঙিয়ে বাস করছি। কবে বাড়ির টাকা পাব?” দলের সদস্যেরা অবশ্য কোনও জবাব দেয়নি। শনিবার খণ্ডঘোষের এনায়েৎপুরেও একই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় দলের সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “বারবার আসছে। কিন্তু খুঁত ধরতে পারছে না। যাতায়াতের টাকায় আরও গরিব মানুষ কাজ পেত, বাড়ি পেত। প্রাপ্য টাকার দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জোর আন্দোলন হচ্ছে, সেই কারণেই বঞ্চিত করতে চাইছে।” বিজেপির মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “কেন্দ্রীয় দল অনিয়ম খুঁজে পেয়েছিল। আমরাও জানি, কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেতে গেলে নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়। রাজ্য সে সবের ধার ধারছিল না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy