রাজবাড়ি চত্বরে লালজি মন্দিরে শুরু হয়েছে কাজ। নিজস্ব চিত্র
শহরের তিন প্রাচীন মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। জানা গিয়েছে, কালনা শহরের লালজি, কৃষ্ণচন্দ্র এবং রূপেশ্বর মন্দিরকে সংস্কারের জন্য বাছা হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। লালজি মন্দিরে শুরুও হয়েছে কাজ।
নানা সময়ে কালনার এই মন্দিরগুলি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। বহু সিনেমার শ্যুটিংও হয়েছে। শহর জুড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলারও দাবি রয়েছে দীর্ঘ দিনের। ফলে মন্দিরগুলির দেখভাল খুবই জরুরি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুরাতত্ত্ব বিভাগের নজরদারিতে রয়েছে এই শহরের ১২টি মন্দির। তার মধ্যে লালজি-সহ বেশ কয়েকটি মন্দিরের আটচালার কারুকাজ করা স্তম্ভ, ছাদ, দেওয়াল, চাতাল-সহ নানা অংশ নষ্ট হতে বসেছে। লালজি মন্দিরের বেশ কয়েকটি স্তম্ভ থেকে চুন, সুরকি খসে পড়ছে বলেও অভিযোগ। সংস্কারের অভাবে মন্দিরগুলির গায়ের টেরাকোটার কাজও নষ্ট হয়ে গিয়েছে অনেক জায়গায়।
পুরাতত্ত্ব বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছরে সংস্কারের জন্য লালজি, কৃষ্ণচন্দ্র এবং রূপেশ্বর মন্দিরকে বাছা হয়েছে। সংস্কারের কাজ চলছে, সেই কথা জানানোর জন্য লালজি মন্দিরের সামনে টাঙানো হয়েছে ফ্লেক্স। মন্দির এবং সংলগ্ন নাটমন্দিরের পাশে বাঁধা হয়েছে প্রচুর বাঁশ। ছোট ছোট ইটের কুচি, চুন, সুরকি, ইটের গুঁড়ো ব্যবহার করা চলছে সংস্কারের কাজ। এক কর্মীর কথায়, ‘‘প্রতিদিন ২০ জন করে দক্ষ শ্রমিক কাজ করছেন। লালজি মন্দির সংলগ্ন নাটমন্দিরের ছাদের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। ছাদটির উপরের আস্তরন তুলে নতুন করে তৈরি করা হবে।’’ এই মন্দির সংস্কারের কাজ শেষ হলে কৃষ্ণচন্দ্র মন্দিরের টেরাটোকার কারুকাজ সংস্কার হবে বলেও জানান তিনি।
পুরাতত্ত্ব বিভাগের কালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক গঙ্গারাম দাস জানান, মন্দিরগুলির অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে সংস্কার না করলে আশাপাশের টেরাকোটার কাজ নষ্ট হয়ে যাবে। ওই দিকটি সংস্কারের সময়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আগামী তিন বছরের মধ্যে সমস্ত মন্দিরগুলিই সংস্কার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy