Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Death

চার বছরে তিনটি ‘খুন’ চিনাকুড়িতে

স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকায় গত চার বছরে এ নিয়ে পর-পর তিনটি খুন হয়েছে।

এই পরিত্যক্ত বাংলো থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ। এই ধরনের আবাসনগুলিই নিয়েই মাথাব্যথা এলাকাবাসীর।  নিজস্ব চিত্র

এই পরিত্যক্ত বাংলো থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ। এই ধরনের আবাসনগুলিই নিয়েই মাথাব্যথা এলাকাবাসীর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিয়ামতপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৩:৩২
Share: Save:

চার বছরে তিনটি খুন একই এলাকায়! এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের নিয়ামতপুরের চিনাকুড়িতে। পাশাপাশি, এলাকাবাসী জানান, তাঁদের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে ইসিএলের পরিত্যক্ত ফাঁকা আবাসনগুলি। সেগুলিতে মদ, জুয়ার আসর বসানো-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম চলছে বলে অভিযোগ। দ্রুত ওই আবাসনগুলি ভেঙে ফেলার দাবি উঠেছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকায় গত চার বছরে এ নিয়ে পর-পর তিনটি খুন হয়েছে। ২০১৭-র ১৩ মে ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসনের সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান রাজকপূর পাসোয়ান ওরফে গোবরা নামে এক জন। নিহতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় নানা অভিযোগ ছিল বলে পুলিশের দাবি। তদন্তকারীরা দাবি করেন, ‘বিরোধী গোষ্ঠী’র হাতে খুন হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।

২০১৮-র ১৫ ডিসেম্বর ওই এলাকারই অন্য একটি পরিত্যক্ত আবাসনের সামনে খুন হন সঞ্জিত পাসোয়ান নামে অন্য এক জন। এ ক্ষেত্রে, রাজকপূরের লোকেরাই খুন করেছে বলে পুলিশ দাবি করে। ২০১৯-এর ৩ অক্টোবর দু’নম্বর এলাকাতেই এক ইসিএল কর্মীর আবাসন তাক করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তবে কেউ হতাহত হননি। এর পরে, বুধবার সকালে ফের দেহ উদ্ধার হয়েছে পরিত্যক্ত বাংলো থেকে।

পর-পর এমন ঘটনায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পরিত্যক্ত আবাসনগুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজনের মদতে বহিরাগত ‘দুষ্কৃতী’রা ওই আবাসনগুলিতে আসর বসাচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে নানা অশান্তি। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামকুমার প্রসাদের দাবি, ‘‘আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বন্ধ হোক।’’ বুধবার সকালে যে বাংলোটি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটির পাশের বাংলোতেই থাকেন সুমন বর্মা। তিনি বলেন, ‘‘সকালে এই ঘটনা জানার পরে থেকেই ভয় চেপে বসেছে।’’

কুলটির তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘পরিত্যক্ত আবাসনগুলিই সমস্যার মূল কারণ। ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।’’ আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘আগের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতেরা গ্রেফতার হয়েছে। এ বারেও হবে।’’

আবাসনগুলির প্রসঙ্গে ইসিএলের দু’নম্বর কোলিয়ারির এজেন্ট এসএন সিংহ বলেন, ‘‘পরিত্যক্ত ফাঁকা আবাসনগুলি নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি। দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ এ দিন যে আবাসন থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে সেটি ‘সিল’ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Chinakuri Mystery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE