পুলিশের গাড়িতে ধৃতরা। —নিজস্ব চিত্র।
পাড়াভর্তি মানুষের কবরস্থান নেই একটিও। তার জন্য আলোচনা চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ঝামেলা শুরু হয়। বাঁশ, লাঠিসোঁটা তো বটেই বঁটি নিয়ে চলল মারামারি-কাটাকাটি। তাতে গুরুতর জখম হলেন বেশ কয়েক জন। হাঙ্গামাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার তুরিপাড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে কবরস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সেই মতো শুক্রবার রাতে পাড়ার সকলে মিলে আলোচনায় বসেন।
কিন্তু চাঁদার হিসেব ঘিরে গোলমাল দেখা দেয়। ৫ হাজার টাকার হিসেব মিলছিল না। তা নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেখান থেকে শুরু হয় হাতাহাতি।
পাড়ার বাসিন্দা ডালিম শেখের পরিবারের অভিযোগ, চাঁদার দায়িত্বে থাকা মুজিবর শেখের কাছে ৫ হাজার টাকা আগেই জমা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা বেমালুম অস্বীকার করেন তিনি। তাতেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝামেলার সময় ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জলের পাম্প অপারেট করছিলেন গুসকরা পুরসভার অস্থায়ী কর্মী সাবির শেখ। তাঁকে সেখান থেকে তুলে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। নুর ইসলাম নামের এক যুবক বঁটির কোপ মারেন তাঁকে। তাতে তাঁর হাতের বুড়ো আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুজিবুর শেখ এবং তাঁর ছেলে শাহিদ শেখও গুরুতর জখম হন।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশের একটি দল। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জখম তিন জনকে তড়িঘড়ি গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। এই ঘটনায় ডালিম শেখ, নুর ইসলাম, সলমন মিয়াঁ, সফিকুল শেখ, সুরজ শেখ এবং নাজমুল ইসলাম নামের ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয় তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy