প্রতীকী ছবি
করোনা-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুরে ‘সেফ হাউস’ তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহকুমা প্রশাসন (দুর্গাপুর)। শনিবার সে জন্য দু’টি জায়গা ঘুরে দেখেন আধিকারিকেরা। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘সংক্রমণ বাড়ছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে তাই সেফ হাউসের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার সরকার নির্ধারিত কোভিড-হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এই প্রথম দেড়শো ছাড়িয়েছে। শুক্রবার দিনভর ২৯ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। শনিবার সকালে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৫৭ জন। অন্য জেলার রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে সেই জেলাতেই। ফলে, ভিন্-জেলা থেকে আর রোগী ভর্তি হচ্ছেন না কাঁকসার কোভিড-হাসপাতালে। তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিন্তার কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। শুক্রবার পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে পশ্চিম বর্ধমানের ১৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছিল কোভিড-হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা চারশো। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কিছু দিনের মধ্যে শয্যার আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই ‘লেভেল ১’ ও ‘লেভেল ২’ স্তরের করোনা রোগীদের ‘সেফ হাউস’-এ রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা।
এ দিন মহকুমাশাসক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় সুব্বা, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পূর্ব) স্বপন দত্ত-সহ অন্য আধিকারিকেরা দু’টি জায়গা পরিদর্শন করেন। ডিএসপি হাসপাতাল ও ডিএসপি-র ইঞ্জিনিয়ারদের রাখার জায়গা ‘বোকারো হস্টেল’ ঘুরে দেখেন তাঁরা। ডিএসপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ডিএসপি কর্তৃপক্ষ সেফ হাউস গড়ার জন্য ওই দু’টি স্থান প্রশাসনকে দেওয়ার আশ্বাস দেন। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএসপি হাসপাতালে ৫০ শয্যার ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ বা ‘সেফ হাউস’, বোকারো হস্টেলে ৭৫ শয্যার ‘সেফ হাউস’ চালু করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট আসার মাঝের সময়ে রোগীদের ডিএসপি হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ রাখা যাবে। এ দিকে, মৃদু উপসর্গ যুক্ত ‘লেভেল ১’ ও ‘লেভেল ২’ রোগীদের রাখা হবে বোকারো হস্টেলে। সেখানে থাকা কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পাঠানো হবে কোভিড-হাসপাতালে।
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘ডিএসপি কর্তৃপক্ষ দু’টি জায়গা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশাসন সেখানে সেফ হাউস চালু করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’ ডিএসপি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় বলেন, ‘‘করোনাকে ঠেকাতে ডিএসপি-র তরফে যা কিছু করা সম্ভব, সব করা হবে। জেলা প্রশাসনকে আমরা সব রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy