বাঁকুড়া রোড ওভারব্রিজে। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা-দিল্লি রেললাইনের উপর দিয়ে যাওয়া বাঁকুড়া রোড ওভারব্রিজে ফুটপাত নেই। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়ছেন পথচারী ও সাইকেল আরোহীরা। তাঁরা জানান, এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হতে হচ্ছে। আশঙ্কা, যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘রোড ওভারব্রিজ’ যৌথ ভাবে তৈরি করে রেল ও রাজ্য সরকার। দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কে দুর্গাপুর স্টেশনের অদূরে ওই সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। এলাকাবাসী জানান, ২০১৩-য় সেতুটি চালু হওয়ার পরে দেখা যায়, রেলের বানানো সেতুর মাঝের অংশে ফুটপাত আছে। কিন্তু রাজ্যের বানানো সেতুর দু’প্রান্তের দীর্ঘ অংশে ফুটপাত নেই। রেল সূত্রে জানা যায়, সেতু চালুর পরে বাঁশ দিয়ে রাস্তার পাশে অস্থায়ী ফুটপাত তৈরি করা হয় এবং রাজ্য পূর্ত দফতরের কাছে দ্রুত স্থায়ী ফুটপাত তৈরির জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তার পরেও সেই কাজ হয়নিবলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে ন’ডিহার দিক থেকে ফি দিন আনাজের ঝুড়ি মাথায় স্টেশন বাজারে আসা চাষি লালু সূত্রধর, সদানন্দ দাসেরা বলেন, ‘‘সেতুতে দু’দিক থেকে দু’টি ট্রাক এলে হেঁটে যাওয়ার মতো জায়গা থাকে না। কোনও রকমে গা বাঁচিয়ে চলতে হয়। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটবে।’’ সাইকেলে চড়ে প্রতিদিন সেতু পারাপার করেন দুধ ব্যবসায়ী রাজকুমার ঘোষ। তিনিও বলেন, ‘‘বড় বড় গাড়ি যাচ্ছে। পথচারীরা হেঁটে যাচ্ছেন। তার মাঝ দিয়ে সাইকেলে চড়ে যাতায়াত চরম সমস্যার। ফুটপাত হলে পথচারীরা রাস্তা ছেড়ে দেবেন। কিছুটা সমস্যা মিটবে।’’ পথচারীরা রাস্তা থেকে সরে গেলে তাঁদেরও ট্রাক চালাতে সুবিধা হবে বলে জানান চালক রামু শর্মা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে ওই সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। সেতুর উপর দিয়ে যাওয়া ২৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার ভিতর দিয়ে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী ওই সড়কের আমূল সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তা মিটলে যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। ফলে, দুর্গাপুরের বাঁকুড়া রোড ওভারব্রিজের উপরে চাপ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে পথচারী বা সাইকেল আরোহীদের যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না হলে বিপদের শঙ্কা রয়েছে।
দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানান, মেয়র দিলীপ অগস্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy