ধৃতদের বক্তব্য, সরকার খাবারের জন্য টাকা বরাদ্দ করে। তা সত্বেও তাঁদের খাবার মিলছে না। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ১ মাস পার হতে চলল। কিন্তু, বর্ধমান জেলা আদালতের লকআপে ধৃতদের খাবারের ব্যবস্থা হল না। খাবার না খেয়েই কাটাতে হচ্ছে ধৃতদের। এ নিয়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ধৃতরা। মাঝেমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে লকআপের নিরাপত্তা রক্ষীদের। ধৃতদের বক্তব্য, সরকার খাবারের জন্য টাকা বরাদ্দ করে। তা সত্বেও তাঁদের খাবার মিলছে না। যদিও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবারের জন্য বরাদ্দের টাকা আসছে না। বেশ কয়েক মাস খাবার সরবরাহের টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ ঠিকাদার । তিনি খাবার সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিষয়টি সিজেএম-এর নজরে আনা হয়েছে। জেলার মুখ্য বিচারক বিষয়টি জেলা জজের নজরে এনেছেন। কিন্তু তার পরও পরিস্থিতি বদল হয়নি।
দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত অবস্থায় লকআপে কাটাতে হচ্ছে ধৃতদের। আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক। হয় ধৃতদের খাবারের বন্দোবস্ত করুক আদালত কর্তৃপক্ষ, না হয় ধৃতদের পরিবারের লোকজনকে খাবার দিতে দেওয়া হোক। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।" বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, "ধৃতদের জন্য খাবার বরাদ্দ করা বাধ্যতামূলক। ধৃতদের জন্য বিচার বিভাগ টাকা বরাদ্দ করে। জরুরি ভিত্তিতে অর্থের সংস্থান করে খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত।" জেলা জজ অফিসের এক আধিকারিক বলেন, "এ নিয়ে উপর মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরকেও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।" খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার অলোক আশ জানান, "৭ মাসের বেশি খাবারের বিল বাকি রয়েছে। বার বার তাগাদার পরও টাকা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy