রানিগঞ্জের ষষ্ঠীগড়িয়ার এই আর্ট গ্যালারি নিয়েই অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
নামেই ‘আর্ট গ্যালারি’। কিন্তু পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে সেখানে ছবির প্রদর্শনী আয়োজিত হয় না। এমনই অভিযোগ, রানিগঞ্জের ষষ্ঠীগড়িয়ায় ১৮ বছর আগে তৈরি সুকান্ত আর্ট গ্যালারিটির বিরুদ্ধে।
সাবেক রানিগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সিপিএম নেতা রুনু দত্ত জানান, পুরসভার উদ্যোগে ২০০৪-এ প্রয়াত সাংসদ বিকাশ চৌধুরীর সাংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি হয় গ্যালারিটি। রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী বংশগোপাল চৌধুরী সেটির উদ্বোধন করেছিলেন। ২০১৫-য় রানিগঞ্জ পুরসভা আসানসোল পুরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়। রুনুর অভিযোগ, “তার পরে থেকে আসানসোল পুরসভা পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কোনও কাজ না করায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে গ্যালারাটি।”
যদিও, চিত্রশিল্পী দিলীপ দে জানাচ্ছেন, আর্ট গ্যালারিটি তৈরির সময়ে, সেটির নকশার বিষয়ে তৎকালীন রানিগঞ্জ পুরসভা পরামর্শ করেছিল শিল্পীদের সঙ্গে। কিন্তু সে মতো কাজ হয়নি। রানিগঞ্জের শিল্পী দিনু হাজরা জানান, উদ্বোধনের দিন পুরসভার অনুরোধে তিনি ও প্রয়াত শিল্পী সুশীল পাল গ্যালারিতে ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। তবে ওই শিল্পীর অভিযোগ, “গ্যালারিটি মাত্র ১৫ ফুট লম্বা এবং ১২ ফুট চওড়া। এটা পুরোপুরি অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই অল্প পরিসরে দর্শকেরা ভাল ভাবে চলাফেরাই করতে পারেন না। সেখানে ছবি দেখবেনকী করে?”
তবে শিল্পীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রুনু। তিনি বলেন, “ওই কক্ষটি যখন তৈরি হয়, তখন সেটি আর্ট গ্যালারি হিসেবে তৈরিই হয়নি। শিল্পীদের সুবিধার জন্য আর্ট গ্যালারি হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।”
ওই শিল্পীদের মতে, ন্যূনতম ৩০ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট চওড়া কক্ষ না হলে, পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা যায় না। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, রানিগঞ্জের বাণিজ্যকেন্দ্রের উপরের তলায় বা নেতাজি সুভাষ বসু রাস্তার পাশে নির্মীয়মাণ সুপার মার্কেটে পর্যাপ্ত জায়গা আছে। সেখানে গ্যালারি তৈরির আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়ছেন শিল্পীরাও। শহরেরই শিল্পী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি আর্ট গ্যালারি থাকা সত্ত্বেও আমরা তা ব্যবহার করতে পারি না। ফলে, শহরে আমাদের ছবির প্রদর্শনীর কার্যত কোনও ব্যবস্থা নেই।”
তবে আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “পুরসভার অন্তর্গত সব শহরেই আধুনিক মানের ‘আর্ট গ্যালারি’ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy