দোলের পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়ছিল। আবহাওয়া দফতরের তরফে পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এরই মাঝে সোমবার আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল-সহ জেলার নানা প্রান্তে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। হঠাৎ বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা নামায় স্বস্তিতে জেলাবাসী।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল। তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৩৮ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই হয়েছিল। সোমবার কিছুটা হলেও স্বস্তি আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষ। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। মাঝে মধ্যে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে সূর্যের দেখা মিলছে। তবে রবিবারের থেকে সোমবার অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে বলে জানান আসানসোলের মানুষজন। একই প্রতিক্রিয়া দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলবাসীরও। শহরবাসী জানান, হঠাৎ বৃষ্টিতে রবিবার রাত থেকে তাপমাত্রা অনেকটা নেমেছে। সকালের দিকে আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল। দুপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। ডাব বিক্রেতা অনিল মাহাতো জানান, রোদ বেড়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা কমে গিয়েছিল। এ দিন আবার ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। সুতপা রায়ের মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তিনি জানান, মেয়েকে টিউশন থেকে নিয়ে ফেরার সময় রোদে খুব কষ্ট হয়। বৃষ্টির জেরে এ দিন কিছুটা স্বস্তি মেলে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)