কার্জন গেটের দু’টি স্তম্ভের কাছে Qবসেছে মূর্তি। নিজস্ব চিত্র
বিতর্কের মাঝেই উন্মোচন হল বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে রাজা-রানির মূর্তি। শনিবার বিকেলে মূর্তি উন্মোচন করেন বিজয়চাঁদ মহতাবের প্রপৌত্র জয়চাঁদ মহতাব। তার আগে, দুপুরে বর্ধমানে এসে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, ‘‘রাজা-রানির মূর্তি বসানো ভাল কাজ। তবে সেটা কার্জন গেটের সামনেই কেন? অন্য জায়গায় বসানো যেতে পারত।’’
কার্জন গেটে এ দিন বিকেলে প্যান্ডেল বেঁধে মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়। প্রথম থেকেই ছিলেন রাজার পরিবারের উত্তরসূরি তথা বিজয়চাঁদের প্রপৌত্র জয়চাঁদ মহতাব। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, উদ্যোক্তা তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকারেরা। বিসি রোডের দিকে কার্জন গেটের মূল স্তম্ভের নীচে বসানো হয়েছে মহারাজা বিজয়চাঁদ ও মহারানি রাধারানি দেবীর মূর্তি। ইট-সিমেন্ট দিয়ে কার্জন গেটের নীচে তৈরি হয় বেদি।
এই মূর্তি উন্মোচন ঘিরে বিতর্ক চলছিলই। কার্জন গেটের স্তম্ভের অংশ আড়াল করে মূর্তি বসানো নিয়ে সরব হয়েছেন শহরবাসীর একাংশ। আদালতে দরবার করেছেন এক বিজেপি নেতা। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কাছে ই-মেলে অভিযোগ করেছেন যুব কংগ্রেসের নেতা। সমাজমাধ্যমেও অনেকে সরব হয়েছেন। এ দিন দলীয় কর্মসূচিতে এসে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত বিষয়টির সমালোচনা করেন।
পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকারের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘যে যা খুশি বলতে পারেন। কাজ করতে গেলে হয়তো ভুল হয়ে যায়। ভুল হলে ঠিক করা হবে। তবে শহরে রাজাদের অবদান মাথায় রেখে তাঁদের মূর্তি বসানো প্রশংসার যোগ্য।’’ জেলা পরিষদ সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘নিন্দুকেরা বিতর্ক করেই এই অনুষ্ঠানের প্রচার করে দিয়েছে।’’ বর্ধমানের একটি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুকৃতী ঘোষাল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘স্থান নির্বাচন নিয়ে একটা বিতর্ক আছে। সে বিতর্ক থাকবে। আশা করি, পুরাতত্ত্ব বা হেরিটেজ কমিশনের সঙ্গে কথা বলে সেই বিতর্কের সমাধান করা হবে।’’ রাজার পরিবার বিতর্ক নিয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy