উপরে বিজেপির, নীচে তৃণমূলের নেতৃত্বে বাজার কমিটির ক্ষোভ। সোমবার বার্নপুরে। নিজস্ব চিত্র
বিবাদের কেন্দ্রে ইস্কোর বণ্টন করা একটি জমি। আর সে জমিকে কেন্দ্র করেই সোমবার বিক্ষোভ, পাল্টা বিক্ষোভ দেখা গেল বার্নপুর। চড়ল রাজনৈতিক উত্তাপও। তৃণমূলের পুর-প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ইস্কোর একটি কার্যালয়ের গেটও ভাঙা হয়বলে অভিযোগ।
যে জমিটি নিয়ে বিতর্ক, সেটি রয়েছে বার্নপুরের স্টেশন রোডে। গত শনিবার দলের মহিলা কর্মী পূর্ণিমা বাউড়ি সেখানে দোকান তৈরি করতে গেলে তৃণমূল তাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সে দিন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে স্টেশন রোড অবরোধ করে বিজেপি। সে সময় সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়েছিলেন অবরোধকারীরা। পুলিশ ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল বলে দাবি। সোমবার দুপুর ১২টায় পুলিশের সে সময়সীমা শেষ হয়। বিজেপির অভিযোগ, সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই ফের অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে এ দিন হিরাপুর থানার সামনে অবস্থান শুরু হয়। অগ্নিমিত্রার তোপ, “পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু কিছুই করেনি। তাই ফের বিক্ষোভে দেখাতে হচ্ছে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।” এ দিকে, সপ্তাহের প্রথম দিন রাস্তা জুড়ে অবস্থান চলায় বিপাকে পড়েন নাগরিকেরা। পুলিশ যানবাহনগুলিকে অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেয়।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইস্কোর টাউন সার্ভিস কার্যালয়ের সমানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাজার কমিটির সদস্যেরা। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল পুরসভার তৃণমূলের স্থানীয় পুর-প্রতিনিধি অশোক রুদ্র। অশোক-সহ অন্যেরা অভিযোগ তোলেন, ইস্কো অন্যায় ভাবে ওই জমি বণ্টন করেছে। কমিটির নেতা অচিন্ত্য রায়ের অভিযোগ, “ওই জমিতে ভ্যাট ও শৌচাগার তৈরির কথা ছিল ইস্কোর। আমরা ওই জমিতে এখন আবর্জনা ফেলি। আমাদের না জানিয়েই জমি বণ্টন করা হয়েছে।” এ দিকে, অশোক দাবি করেন, “আমাদের দলের মহিলা কর্মী প্রায় তিন দশক আগে ওই জমি ইস্কোর কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তিনি ‘পিসিও’ চালাতেন। সেখানে শৌচাগার ও ভ্যাট হবে বলে তাঁর দোকান তুলে দেওয়া হয়। এখন সেই জমি অন্যায় ভাবে অন্য এক জনকে দেওয়া হয়েছে। এই অনুমতি প্রত্যাহারকরতে হবে।”
এ দিন বিক্ষোভকারীরা জোর করে সংস্থার কার্যালয়ে ঢুকতেও যান বলে অভিযোগ। রক্ষীরা তাঁদের বাধা দেন। এক সময় গেট ভেঙে বিক্ষোভকারীরা কার্য়ালয় চত্বরে প্রবেশ করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক এই অবস্থা চলার পরে, দফতরের আধিকারিকেরা পাঁচ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।
বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করায় পুলিশ ইস্কোর কাছে বিকল্প জমি দেওয়ার আবেদন জানায়। পুলিশের সঙ্গে ইস্কো কর্তৃপক্ষের দীর্ঘক্ষণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে জানা যায়, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি বিকল্প জমির ব্যবস্থা করা হবে। এর পরেই বিজেপি ও তৃণমূলের বিক্ষোভ থামে। বিকেল ৪টে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ইস্কোর জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) ভাস্কর কুমার বলেন, “বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy