Advertisement
E-Paper

ব্যবসায়ীর বাড়িতে দিনভর এসটিএফ

কালনায় এসটিকেকে রোডের পাশে একটি চার তলা বাড়িতে থাকেন ওই ওষুধের দোকানের মালিক। নীচের তলায় রয়েছে তাঁর দোকান।

কালনার এই বাড়িতে চলচিল অভিযান।

কালনার এই বাড়িতে চলচিল অভিযান। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৬
Share
Save

কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ওষুধের দোকানের মালিকের বাড়িতে বুধবার ভোর থেকে তল্লাশি শুরু করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। রাত ৯টা বেজে গেলেও ওই বাড়ি থেকে যাননি গোয়েন্দারা। তবে তল্লাশিতে কী উদ্ধার হয়েছে, আদৌ কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা, ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে অসাধু কোনও কাজে বা ব্যবসায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে কি না, সে সব বিষয়ে এসটিএফের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তল্লাশি দীর্ঘতর হওয়ায় এলাকাবাসীর কৌতূহল বেড়েছে।

কালনায় এসটিকেকে রোডের পাশে একটি চার তলা বাড়িতে থাকেন ওই ওষুধের দোকানের মালিক। নীচের তলায় রয়েছে তাঁর দোকান। অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে নকল ওষুধ বিক্রি-সহ নানা অভিযোগ ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। যদিও ওই ব্যবসায়ী এসটিএফের ঘেরাটোপে থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

এ দিন ভোরেই ওই বাড়িতে চলে আসেন এসটিএফের ছ’জন সদস্য। সঙ্গে ছিল স্থানীয় পুলিশ। বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ির মালিককে নিয়ে তাঁরা হুগলির বলাগড়ের দিকে গিয়েছিলেন। পরে ফিরে আসেন ওই বাড়িতে।তার পরে দিনভর দফায় দফায় বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। মাঝেমধ্যে তদন্তকারী আধিকারিকদের কয়েক জনকে রাস্তায় নেমে চা ও খাবার খেতে দেখা যায়। তাঁরা অবশ্য তল্লাশির বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করেননি।

তল্লাশি চলাকালীন ওই বাড়িতে পৌঁছন এসটিএফের সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু। বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি চলে যান। তবে তল্লাশিতে কী মিলেছে, কেন তল্লাশি, কাউকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে— এ রকম বেশ কিছু প্রশ্ন করা হলে তিনি নিরুত্তর ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পরেও বাড়ি ছাড়েননি এসটিএফের আধিকারিকেরা।

ওই আধিকারিক চলে যাওয়ার পরে, কয়েক জন আধিকারিক জানান, তাঁরা মাদক, জাল নোট, সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত নানা বিষয়ের তদন্ত করে থাকেন। কিছু সূত্র পেয়ে তাঁরা ওই বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন। বাড়িটি বড় হওয়ায় তল্লাশিতে সময় লাগছে। তবে তাঁরা যে সব বিষয় নিয়ে তদন্ত করেন, সে সংক্রান্ত বিশেষ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়নি। তাঁদের এক জনের দাবি, ‘‘বাড়িটি থেকে বেআইনি কিছু মিলেছে কিনা, তা জানতে আরও সময় লাগবে।’’ বাড়ির মালিকের বক্তব্য জানার চেষ্টা হলেও এসটিএফের আধিকারিকেরা সংবাদমাধ্যমকে তাঁর ধারে কাছে পৌঁছনোর অনুমতি দেননি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna Special Task Force

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}