Advertisement
E-Paper

বর্ধমান-কাণ্ডে ধৃত ৪৬ সিপিএমকর্মী, ‘কয়েকটা জন্তু অশান্তি করতে এসেছিল’, তৃণমূলের তোপ

বুধবার সিপিএমের কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বর্ধমান। ওই কাণ্ডে ধৃত মোট ৪৬ জনকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সকাল থেকেই বর্ধমান আদালত চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।

বুধবার উপড়ে ফেলা হয় বিশ্ব বাংলার  লোগো।

বুধবার উপড়ে ফেলা হয় বিশ্ব বাংলার লোগো। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৫৩
Share
Save

দলীয় কর্মসূচি থেকে বর্ধমানে অশান্তির ঘটনায় ৪৬ জন সিপিএমকর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী এবং এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরীও। বুধবার ‘আইন অমান্য’ কর্মসূচি ছিল সিপিএমের। ওই মিছিল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় শহরের কার্জন গেট এলাকায়। বিশ্ব বাংলার লোগো উপড়ে ফেলা হয়। এর কিছু পরে ফলের দোকান থেকে কলা চুরি এবং দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগও ওঠে। গ্রেফতারের ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতর।

বুধবার সিপিএমের দলীয় কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমান। ওই কাণ্ডে ধৃতদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর করা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশের উপর বল প্রয়োগ করা এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা ইত্যাদি অভিযোগ আনা হয়েছে। সকাল থেকেই বর্ধমান আদালত চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। পুলিশের হাতে ধৃত আভাস অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমরা কেউ গরু চোর বা কয়লা চোর নই। আমরা মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করা হয়েছে।’’

সিপিএমের বুধবারের ওই আন্দোলন নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে কয়েকটি জন্তু এসেছিল বর্ধমানে অশান্তি করতে। গত ১১ বছরে বর্ধমানে কোনও অশান্তি ছিল না। ওরা অশান্তি করে, কলা চুরি করে এবং দোকান ভাঙচুর করে চলে গিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আর জেলার মানুষ এই তাণ্ডবের জবাব দেবেন।’’

এ নিয়ে সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস। তিনি বলেন, ‘‘দলনেত্রীর নির্দেশে আমাদের কর্মীরা শান্ত আছে। না হলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিপিএমকে বুঝিয়ে দিতাম। কলকাতা থেকে নিষেধ করা হয়েছে তাই, না হলে কাল রাতেই সিপিএমের পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দিত আমাদের দলের কর্মীরা। সিপিএমের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না। তাই সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ভেঙেছে। বিশ্ব বাংলার লোগো নষ্ট করেছে।’’

যদিও বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি এলাকার বর্ধমান সদর ১ নম্বর এরিয়া কমিটির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। সিপিএম নেতা দেবু লাহিড়ির দাবি, ‘‘হামলার পাশাপাশি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসে ঢুকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেছে। কাগজপত্রও নষ্ট করা হয়েছে।’’

এ নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘এই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। সিপিএমই হামলা-ভাঙচুরের রাজনীতি করে। আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করি।’’

police arrest biswa bangla CPM

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}