বিতর্কিত পোস্ট। নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণ দামোদরের তিনটে ব্লকে ‘লুট’ চলছে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়েছে একটি পোস্ট। তৃণমূলের বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তাতে। পোস্টটি নিয়ে বিব্রত ওই নেতারাও। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশে দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন, অনেকে আবার সরাসরি সাইবার আইনে মামলা ঠুকবেন বলে জানাচ্ছেন।
ফেসবুকের যে প্রোফাইল থেকে লেখাটি ছড়িয়েছে তাঁর নাম সাগর চৌধুরি। ‘ডিপি’ (ডিজিট্যাল প্রোফাইল)-তে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরির সঙ্গে ছবি রয়েছে রায়নার সেহেরাবাজারের ওই সাগর চৌধুরির। পোস্টটিটে তিনি ‘ট্যাগ’ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক ছাড়াও আরও ৩৮জনকে। বুধবার রাতে সাগরবাবুর দাবি করেন, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তিনি ‘বাড়ি ছাড়া’। তাঁর অভিযোগ, “ফেসবুকে পোস্ট হওয়া লেখাগুলি খুবই সত্যি। তবে আমি ওই সব লিখিনি। অন্য কারও লেখা কপি করে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে।’’ কিন্তু কার লেখা, কী ভাবে ওই লেখা তিনি পেলেন সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে বৃহস্পতিবার পোস্টটি আর তাঁর ওয়ালে দেখা যায়নি।
পোস্টটিতে লেখা ছিল, ‘রায়না, মাধবডিহি, খণ্ডঘোষ তথা দক্ষিণ দামোদরের গণতন্ত্রপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে দুর্দিনের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের আবেদন, তিনটে ব্লকে লুঠ চলছে। এই লুঠের মূল কারিগর হলেন রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই। তাঁর নেতৃত্বেই জনগনের কাছে ঘর তৈরির জন্যে ২০-২৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। একশো দিনের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বালি খাদান থেকে কোটি কোটি টাকা তোলা হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রতিটি প্রকল্প বাবদ ১৫ শতাংশ কাটমানি নেওয়া হচ্ছে’। আরেকটি লেখায় দেখা যাচ্ছে, ‘কেউ প্রতিবাদ করলেই পুলিশের ভয় আর গাঁজার কেস দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চুপ করে রাখা হচ্ছে’।
এই ‘কাজে’ নেপালবাবুর ‘সহযোগী’ হিসেবে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রায়না ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আনসার আলি। তিনি বলেন, “এই মিথ্যা অপবাদ আমার খুব গায়ে লেগেছে। আমি সাইবার ক্রাইমে মামলা করার জন্যে পরামর্শ নিচ্ছি।’’ রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই বলেন, “লুকিয়ে-চুরিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। দলের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ করব।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। কি লেখা রয়েছে সেটাও জানা নেই। তাই কোনও মন্তব্য করব না। কেউ কোনও লেখা ‘ট্যাগ’ করলে কী করতে পারি!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy