আইনজীবীকে পুলিশের চড় মারার অভিযোগ ঘিরে চাপানউতোর চলছিল। এ বার অনির্দিষ্ট কাল কর্মবিরতির ডাক দিল কাটোয়া বার অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার পুলিশের মারের প্রতিবাদে কাটোয়া আদালত চত্বরে ঘণ্টাদুয়েক বিক্ষোভ দেখান ১৩০ জন আইনজীবী। এ দিকে, কোনও কাজ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা।
কেতুগ্রামের বেণীনগর থেকে আদালতে এসেছিলেন তারক দাস। খুনের মামলায় অভিযুক্ত তিনি। কেতুগ্রামের ভ্রমরকোলের আজিজুল হককেও এসে ফিরে যেতে দেখা যায়। তাঁদের দাবি, ‘‘আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে মুশকিলে পড়তে হবে।’’ কেতুগ্রামের মোরগ্রামের রাজর্ষি দাসও এসেছিলেন খোরপোষের মামলায়। তাঁরও কথায়, ‘‘এমনিতেই দীর্ঘদিন মামলা চলে। তার মধ্যে কর্মবিরতি!’’
আইনজীবীদের দাবি, সোমবার সার্কাস ময়দানের মাতৃকল্যাণ মোড়ে হেলমেট না থাকায় আইনজীবী ফরমান শেখের মোটরবাইক আটকান এসআই রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। বাইকের চাবি কেড়েও নেওয়া হয়। তিনি চাবি ফেরত চাইলে এসডিপিও সায়ক দাস ওই আইনজীবীকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। কাটোয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষের দাবি, ওই দিনই জেলা পুলিশ সুপারকে এসএমএস করে বিষয়টি জানানো হয়। মঙ্গলবার ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেন ফরমান শেখও। যদিও পুলিশের দাবি, কোনও অভিযোগ মেলেনি। ওই আইনজীবী মদ্যপ অবস্থায় মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন বলেও তাঁদের দাবি।
ফরমান শেখের যদিও দাবি, তিনি মদ্যপান করেন না। তাঁর সহকর্মী ধীরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, কবিরুল ইসলাম, শ্যামা মজুমদারদের কথায়, ‘‘ত্রিশ বছর ধরে উনি আদালতে প্র্যাকটিস করছেন। মদ্যপান তো দূর, ধূমপান করতে দেখিনি।’’ এরপরেই এ দিন আদালতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বার অ্যাসোসিয়েশন। আইনজীবীদের দাবি, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা-র দাবি, ‘‘আগামী শুক্রবার জেলা আদালত বয়কট করা হবে। পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে।’’
জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘এখনও অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy