গোলমালের পরে। দেবশালা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের কাজে সুপারভাইজার নিয়োগকে কেন্দ্র করে অশান্তি বাধল বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েত অফিসে। মঙ্গলবার দুপুরে দেবশালার কাঁকড়া গ্রামের তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী পরস্পরের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। বুদবুদ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানায়, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে।
দেবশালা পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এলাকার বিভিন্ন সংসদে একশো দিনের কাজ নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়। প্রধান শ্যামল বক্সী জানান, এলাকায় একশো দিনের কাজে আরও গতি আনতেই এই সভা। বিভিন্ন সংসদের সমস্যার পাশাপাশি একশো দিনের কাজে আর কী কী করা যায়, সে নিয়ে আলোচনা চলছিল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। ছিলেন তৃণমূলের আউশগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষও। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীনই কাঁকড়া গ্রামের দু’টি গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। আচমকা হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকড়া গ্রামে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীতে রয়েছেন মনির মণ্ডল, আনারুল শেখের মতো নেতারা। হাসিবুল মণ্ডল, হাসান মণ্ডল নামে আরও কয়েকজন অন্য গোষ্ঠীর বলে পরিচিত। দু’পক্ষই এ দিন সভাকক্ষে উপস্থিত ছিল। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝেই সভাকক্ষের চেয়ার তুলে, বাঁশ-লাঠি নিয়ে পরস্পরের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জনা সাতেক আহত হন। উপস্থিত অন্য ব্যক্তিরা সভাকক্ষ থেকে পালাতে শুরু করেন। মনির মণ্ডলের দাবি, তাঁদের পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের রাজবাঁধে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আনারুল শেখকে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মনিরের অভিযোগ, ‘‘বৈঠক শেষের মুখে বাদানুবাদ থেকে অশান্তি বেধে গিয়েছে।’’ অপর গোষ্ঠীর হাসিবুল মণ্ডল ও হাসান মণ্ডলকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকড়া গ্রামে একশো দিনের কাজে সুপারভাইজার নিয়োগ নিয়ে গোলমাল দীর্ঘদিনের। সে নিয়েই এ দিন ফের উত্তপ্ত হয় সভা। প্রধান শ্যামল বক্সী বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজ নিয়ে বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি বেধেছিল। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। আহতদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তৃণমূলের আউশগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষকে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy