Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

স্কুলের মাঠে নেতার মদতে অনুষ্ঠান, নালিশ

স্কুলের দখলে থাকা জায়গায় অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় কাউন্সিলরের মদতে নানা অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি চলছে বলে পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। সোমবারও দেখা যায় বর্ধমানের ইছালাবাদ বিবেকানন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই জমিতে বিয়ের মণ্ডপের জন্য বাঁশ পোঁতা হচ্ছে।

তোড়জোড়: স্কুলের জমিতে বাঁশ পুঁতে প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র

তোড়জোড়: স্কুলের জমিতে বাঁশ পুঁতে প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩২
Share: Save:

স্কুলের দখলে থাকা জায়গায় অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় কাউন্সিলরের মদতে নানা অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি চলছে বলে পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। সোমবারও দেখা যায় বর্ধমানের ইছালাবাদ বিবেকানন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই জমিতে বিয়ের মণ্ডপের জন্য বাঁশ পোঁতা হচ্ছে। ফের পুরসভার অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষিকা ভাস্বতী লাহিড়ী। পরে পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করান।

প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, “স্থানীয় কাউন্সিলর পরেশচন্দ্র সরকারের মদতে কারণে, অকারণে স্কুলে বহিরাগতরা ঢুকছেন। ছাত্রী, শিক্ষিকারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’’ এ দিন দুপুরে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।

মাস খানেক আগে পুরপ্রধানকে চিঠি পাঠিয়ে ভাস্বতীদেবী অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬-র জুলাইয়ে স্কুলকে না জানিয়ে সীমানা-পাঁচিলের ভিতরে কাউন্সিলর পরেশচন্দ্র সরকার ‌একটি নির্মাণকাজ শুরু করেন। সেখানে কমিউনিটি হল গড়ার ভাবনা ছিল তাঁর। এরপরেও বছরের শুরুতে কাউন্সিলরের মদতে স্কুলের মাঠে টিকিটের বিনিময়ে স্থানীয় একটি ক্লাব ‘নিউ ইয়ার ইভ’ পার্টি করে। এ বিষয়েও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতেন না। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সিদ্ধেশ্বর দাসও বলেন, “দোলের সময় ছাড়া অন্য কোনও সময় ওই জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি।”

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরসভার হাতে থাকা স্কুল লাগোয়া চার বিঘা জমির মধ্যে দু’বিঘা স্কুল উন্নয়নের জন্য দান করা হয়। ২০১১ সালে জমি-সহ স্কুলের জায়গা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। ফলে, পুরো জায়গাটাই স্কুলের ‘দখলে’ চলে আসে। ওই জায়গা ছাত্রীরা খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করেন। প্রধান শিক্ষিকার কথায়, “বুধবার থেকে ইউনিট পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এখন যদি কেউ পুরসভার জায়গায় অনুষ্ঠান করতে চায়, আমাকে তো পড়ুয়াদের স্বার্থে বাধা দিতেই হবে।” স্কুলের ওই জায়গার ভিতর মদ-জুয়া-গাঁজার আড্ডা বসত। পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানোর পরে তা বন্ধ হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।

আর পরেশবাবুর দাবি, “বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠ থাকলে ছোটরা খেলাধূলো করবে। নানা সামাজিক কাজও অনুমতি নিয়ে করা হয়। কারও কারও উস্কানিতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন শিক্ষিকা।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy