কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই রোগীর। —ফাইল চিত্র।
মৃত্যুর শংসাপত্রে যে মহিলাকে মৃত বলে দেখানো হচ্ছে, তিনি আসলে বেঁচে আছেন। আর যিনি জীবিত, আসলে তাঁরই মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনায় গোল বাধল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।
হুগলি জেলার ধনিয়াখালি থানার সমষপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বনপুর গ্রামের রুনু মাঝি গত অগস্ট মাসে শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর গ্রামে তাঁর বোনের বাড়ি বেড়াতে আসেন। সেখানে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বোন আলপনা সর্দার তাঁকে তড়িঘড়ি কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতলে নথি জমা দেওয়ার সময় দিদির পরিবর্তে আলপনা তাঁর নিজের নথি জমা দেন। আর এতেই শুরু হয় গন্ডগোল। গত ১২ আগস্ট রুনু কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাঁর আত্মীয়রা দেহ হুগলির বাড়িতে নিয়ে যান। তার পর সেখানকার একটি শ্মশানে গত ১৩ আগস্ট শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
দিন কয়েক আগে মৃতা রুনুর আত্মীয়রা কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে যান। কিন্তু শংসাপত্র দেখে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন, রুনুর পরিবর্তে তাঁর বোন আলপনা সর্দারের নাম রয়েছে মৃত্যুর শংসাপত্রে। তাঁরা এর পর ছোটেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে। গ্রামবাসীরা লিখিত ভাবে জানান যে, তাঁরা রুনু মাঝির শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আলপনা তো বেঁচে।
এই ব্যাপারে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার চন্দ্রকান্তি মাইতি বলেন, ‘‘দিদির পরিবর্তে বোন প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে। আমরা সেখানকার প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এই বিপত্তি কাটানোর চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy