কার্জন গেট চত্বরে। ছবি: উদিত সিংহ
জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই এলাকা। কিন্তু তার সামনেই রাস্তা জুড়ে বড়সড় এক গর্ত। তার উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার যানবাহনের চলাচল। বর্ধমানের এই কার্জন গেট চত্বর শুধু নয়, জিটি রোডের এমন বেহাল অবস্থা বেশ কিছু জায়গাতেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ধমান শহরে জিটি রোডের খুব খারাপ অবস্থা কালীবাজার মোড় এলাকায়। চার মাথা মোড়ে প্রায় হাত চারেকের খন্দ তৈরি হয়েছে। রাস্তার একাংশ জুড়ে গর্ত। সেখানে জল জমে রয়েছে। গর্তে বিপদ থেকে বাঁচতে রাবিশ ফেলা হয়েছে। বৃষ্টির পরে, গোটা জায়গার হাল ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পথচারীদের। খারাপ অংশের পাশে বিপদ সঙ্কেত দিয়ে স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, রাস্তা খারাপ হলেই প্রশাসনের তরফে তাপ্পি মারা হয়। কিছু দিন পরেই সে তাপ্পি উঠে গিয়ে ফের রাস্তার আগের অবস্থা ফিরে আসে। শহরের ব্যবসায়ী রতন দাস, রানা চক্রবর্তীদের কথায়, ‘‘জিটি রোডে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সারা দিন যানবাহনের চাপ থাকে। এই রাস্তায় বিপদ সঙ্কেতের স্ট্যান্ড না দিয়ে পাকাপাকি ভাবে সংস্কার করা হোক।’’ একই অবস্থা কার্জন গেটেও। বীরহাটার দিকে যাওয়ার রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। নবাবহাট থেকে শুরু করে উল্লাস মোড় পর্যন্ত জিটি রোডে ছোট-বড় প্রচুর গর্ত তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অনেক জায়গায় রাস্তার ঢাল ঠিক না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে। এই রাস্তার স্থায়ী সারানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
নানা জায়গায় বেহাল বর্ধমান-কাটোয়া রোডও। কাটোয়া ছাড়া, এই রাস্তা ধরে মুর্শিদাবাদ যাতায়াত করে অনেক গাড়ি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাস-সহ নানা যানবাহনের চাপ অনেকটা কম থাকা সত্ত্বেও রাস্তা যেন বিভীষিকা, দাবি পথচারীদের। রেল উড়ালপুলের নীচ থেকে বাজেপ্রতাপপুর, রাস্তার এই অংশ ভরা বর্ষায় কার্যত ‘মৃত্যুফাঁদ’ হয়ে রয়েছে বলে তাঁদের দাবি। স্থানীয় বাসিন্দা ভবানীপ্রসাদ গুপ্ত, সুমন দত্তদের কথায়, ‘‘দুর্ঘটনা ঘটলে এলাকার লোকজন রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ-অবরোধ করেন। পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। এ ভাবেই চলছে বছর দেড়েক ধরে।’’ এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৃষ্টি না হলে রাস্তায় ধুলো ওড়ে। বৃষ্টি হলে জল জমে যায়।
পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বাদামতলা মোড়, তিনকোনিয়া-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যে জিটি রোড সংস্কার করা হয়েছে। অন্য জায়গাগুলিও দ্রুত সংস্কার করা হবে।’’ দফতরের আধিকারিক ভজন সরকারের বক্তব্য, ‘‘লকডাউন ও করোনা-পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। বৃষ্টির জন্যও অসুবিধা হচ্ছে। তবে সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে কাটোয়া রোডে বাজেপ্রতাপপুরে সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy