প্রতীকী ছবি।
লকডাউন থেকে আনলক পর্ব, এই গোটা সময় জুড়ে শিল্পাঞ্চলের আনাজ ও মাছ বাজারের দর নিয়ে সরব হয়েছিলেন জেলার বাসিন্দারা। কৃষি বিপণন দফতরের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্সের অভিযানে দরে কিছুটা লাগাম পড়ে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে অভিযান বন্ধ থাকায় পুজোর মরসুমে ফের দর চড়ছে বাজারে। তবে দফতর জানিয়েছে, পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন ফের অভিযান চালানো হবে।
আসানসোল মূল বাজার ও বার্নপুরের ডেলি মার্কেট হল শিল্পাঞ্চলের মাছ ও আনাজের প্রধান পাইকারি বাজার। এই দু’জায়গায় খুচরো বাজারও রয়েছে। পাশাপাশি, এই শিল্পাঞ্চলে ছোটো-বড় মিলিয়ে নিত্য বাজার রয়েছে প্রায় ৭৩টি। সম্প্রতি এলাকাবাসী সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, আসানসোল, বার্নপুর, রানিগঞ্জ, নিয়ামতপুর, কুলটি, বরাকর, রূপনারায়ণপুর-সহ শিল্পঞ্চলের একাধিক নিত্য বাজারে জিনিসপত্রের দর অত্যন্ত চড়া। মঙ্গলবার প্রায় সব বাজারেই কেজি প্রতি জ্যোতি আলুর দর ছিল, ৩৫ টাকা। শিল্পাঞ্চলে চন্দ্রমুখী আলু খুব একটা পাওয়া যায় না। এ ছাড়া, পটল, বেগুন কিলো প্রতি ৮০ টাকা, ঝিঙে, ঢেঁঢ়স, বাঁধাকপি, মুলো, পালং শাক কেজি প্রতি ৬০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। মাঝারি মাপের একটি ফুলকপির দর ছিল ৪০ টাকা। টোম্যাটো কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তৈরি বিশেষ টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে থাকা কৃষি বিপণন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দিলীপ মণ্ডলের দাবি, ‘‘আনলক পর্বের শুরু থেকে প্রতিটি বাজারে নিয়ম করে অভিযান হওয়ায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন রাজ্য সরকারি দফতর ছুটি থাকলেও আমরা ঠিক করেছি, ২২ অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পঞ্চলের প্রতিটি বাজারেই অভিয়ান চালানো হবে। এতে যতটা মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।’’ তবে এই অভিযান মূল্যবৃদ্ধি রোধে যথেষ্ট নয় বলেই দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টাস্ক ফোর্সের এক আধিকারিকের।
এই পরিস্থিতিতে ‘সুফল বাংলা’র স্টল আরও বেশি সংখ্যায় খোলা হলে কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন ক্রেতাদের অনেকেই। দিলীপবাবু জানান, দুর্গাপুরে দু’টি, রানিগঞ্জ ও অণ্ডালে চারটি ‘সুফল বাংলা’র অস্থায়ী স্টল খোলা রয়েছে। পুজোর পরে, আরও ‘সুফল বাংলা’র আরও দশটি অস্থায়ী স্টল খোলা হবে।
এ দিকে, টাস্ক ফোর্সের অভিযান বন্ধ হতেই রূপনারায়ণপুর মাছের বাজারে চড়া দাম নেওয়ার পাশাপাশি, ওজনে কম দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ক্রেতাদের একাংশ। কৃষি বিপণন দফতরের আশ্বাস, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হলে, অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে। এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন রূপনারায়ণপুর বাজর সমিতির সভাপতি মহম্মদ আরমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy