এই রাস্তা সংস্কারের দাবি উঠেছে। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার দু’পাশে বন দফতরের জঙ্গল। তার উপরে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়েছে রাস্তাটি। ফলে, দিনের বেলায় কোনও রকমে যাতায়াত করা গেলেও, সন্ধ্যায় পরে ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। দুর্গাপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিবাজার থেকে পাড়দই রাস্তা নিয়ে এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। পুরসভার তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি হরিবাজারের কাছে ফুলঝোড়-জেমুয়া রোড থেকে বেরিয়ে প্রায় দু’কিলোমিটার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গিয়েছে। পাড়দই পেরিয়ে আইকিউ সিটি রোডে সেটি মিশেছে। রাস্তাটির প্রায় আড়াই কিলোমিটার। ওই রাস্তা দিয়ে বাসিন্দারা হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, আদালত, সরকারি অফিস, বাজার-সহ নানা কাজে যাতায়াত করেন। হরিবাজার এলাকার বাসিন্দারা সিটি সেন্টার, চণ্ডীদাস মার্কেট, ডিএসপি টাউনশিপ যেতে গেলে বা পাড়দই এলাকার বাসিন্দারা ফুলঝোড়, বিধাননগর যেতে ওই রাস্তাটিই ব্যবহার করে থাকেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন রাস্তার সংস্কাটি না হওয়ায় খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। কোথাও কোথাও পিচ পুরোপুরি উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে দিয়েই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার দু’পাশে আলোর ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সব ঠিক মতো জ্বলে না বলে অভিযোগ। তা ছাড়া রাস্তা খারাপ থাকায়, রাতের দিকে গাড়ি বা মোটরবাইক ধীরে চালাতে হয়। ফলে, বেশি রাত হলে নিরাপত্তার আশঙ্কায় ওই রাস্তা দিয়ে না গিয়ে, ঘুরপথে যেতে হয় বাসিন্দাদের।
রাস্তা দিয়ে রিকশা নিয়ে যাতায়াত করেন মহম্মদ হাকিম। তিনি বলেন, “রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। তাই রিকশা টানতে খুবই কষ্ট হয়। এটি সংস্কার করা হলে সুবিধা হবে।” প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে বিধাননগর থেকে ডিএসপি টাউনশিপে যাতায়াত করেন পঙ্কজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “দিনের আলোয় খানাখন্দ বোঝা যায়। ফলে, তেমন অসুবিধা হয় না। কিন্তু রাতে আলো-আঁধারিতে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।”
পুরসভার সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বাস্তুকারেরা বিভিন্ন রাস্তার সমীক্ষা করেছেন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেগুলির সংস্কারের তালিকা তৈরি নিয়েছেন। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে নগরোন্নয়ন দফতরে। যেমন যেমন অনুমোদন ও বরাদ্দ আসবে, সে ভাবেই ধাপে ধাপে শহরের সব বেহাল রাস্তা সংস্কার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy