হাত পেয়েছেন, কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রেণু। নিজস্ব চিত্র।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রশাসনের তরফে কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থাও হয়েছে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিলেন রেণু খাতুন। আচমকা ছন্দপতন! তাঁর হাত কেটে নেওয়া তিন জন জামিনে মুক্ত হতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন রেণু। একই সঙ্গে জানালেন, তিনি আতঙ্কিত।
চলতি বছরের ৪ জুন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের বধু রেণুকে নার্সিংয়ে চাকরি করতে দেবেন না বলে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামী শেখ সরিফুল ওরফে সিরাজ শেখের বিরুদ্ধে। পরে জানা যায়, এই কাজে সিরাজের সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক তুতো ভাই-সহ আরও দুই সঙ্গী। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়। রেণুর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টা-সহ ছ’টি ধারায় এসিজেএমের কাছে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। গত ৩০ জুন আদালতে জমা দেওয়া ৪১৮ পাতার চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, চিকিৎসক, স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ২৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রেণু নার্সিংয়ের চাকরি পান।
বর্তমানে একটি নার্সিং কলেজে রাণু কর্মরত। পাশাপাশি তাঁর কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। কিন্তু এর মধ্যেই খবর আসে, রেণুর হাত কেটে নেওয়া তিন অভিযুক্তের জামিন হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমি আতঙ্কিত।” তাঁর সংযোজন, “তদন্তে গাফিলতি থাকতে পারে পুলিশের। তাই হয়তো জামিন পেয়ে গেল ওরা।’’ রেণু জানান, আবার নতুন করে ভয় পাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওদের জামিন হওয়ায় আমি বিস্মিত! আমার উপর আবার হামলা হতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy